রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন

News Headline :
ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪ উদযাপনের আজদ্বিতীয় দিন ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লালন মেলা হতে চুরি হওয়া ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ন্যায় বিচার পেলে আওয়ামী লীগের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে-নওগাঁ জামায়াত আমির রাবি’তে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসীদের গুলি ল্যাংড়া বিপু গুলিবিদ্ধ পাবনায় স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল সমর্থক হামলা-পাল্টা হামলা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

রাজশাহীতে গরুর হাটে হাসিলের নামে চলছে চাঁদাবাজি

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীর সিটিহাটে এবার এক বছরের ব্যবধানে গরু-মহিষের হাসিল বেড়েছে ২০০ টাকা। সিটি করপোরেশন এলাকার এই হাটের হাসিল বাড়ানো দেখে অন্য হাটগুলোতেও হাসিলের টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সিটিহাটের চেয়ে অন্য হাটগুলোর ইজারামূল্য অনেক কম। জেলা প্রশাসন বলছে, অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে নওহাটায় খাশিপ্রতি নেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৭০০ টাকা। নগরীর খড়খড়িতে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে বসেছে অবৈধ গরুর হাট। এসব হাটে রীতিমতো হাসিলের নামে চাঁদাবাজিতে নেমেছেন ইজারাদাররা। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে। তবে ইজারাদারদের দাপটে কেউ কিছু বলার নাই।
কোরবানির পশুহাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদাই বেশি দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা মূল্যের গরু কিনতে ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মঙ্গলবার রাজশাহী অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাট সিটিহাট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সিটিহাটে সপ্তাহের বুধবার ও রোববার হাট বসে। তবে কোরবানির কারণে এখন প্রতিদিনই হাট বসছে। এই হাটে একটি গরুর জন্য ৭০০ টাকা, মহিষের জন্য ৭৫০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের জন্য ৫০০ টাকা হাসিল নেওয়া হচ্ছে। গতবছরও গরুর জন্য ৫০০, মহিষের ৫৫০ এবং ছাগল ও ভেড়ার হাসিল ছিল ৩০০ টাকা। এক বছরের মধ্যেই এই হাটের হাসিল ২০০ টাকা বেড়েছে। কয়েক কোটি টাকায় ইজারা দেওয়ার সময় সিটি করপোরেশনই এই হাটের হাসিল মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী আদায় করা হচ্ছে। সিটিহাটের ইজারাদারদের একজন ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আমাদের যে হাসিল নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটাই আদায় করা হচ্ছে। আমাদের ইজারামূল্য বেশি বলে হাসিলও একটু বেশি। কিন্তু কম ইজারার হাটেও আমাদের মতো হাসিল আদায় করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মাসকাটাদীঘি স্কুল মাঠে পশুর হাট বসে। ৩০ লাখ টাকায় এক বছরের জন্য হাটটি ইজারা দিয়েছে কাটাখালী পৌরসভা। এই হাটেও সিটিহাটের সমপরিমাণ হাসিল আদায় করতে দেখা যায়। এখানেও চাঁদাবাজিতে নেমেছেন ইজারাদার। হাটের ইজারাদার সামিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হাট তো সারাবছর বসে না। হাট বলতে কোরবানির এই কয়দিন। তাই সিটিহাটের সমপরিমাণ হাসিল আদায় করা হচ্ছে। টাকা তো তুলতে হবে।’ রাজশাহীর নওহাটা ছাগলের হাটে হাসিল আদায় করা হচ্ছে অস্বাভাবিক। সেখানে একটি ছাগলের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৭৫০ টাকা। হাটটি ইজারা দিয়েছে নওহাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। হাটের ইজারাদার আব্দুল মাজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিষয়ে কথা বলতে চাননি। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা হাট ইজারা দেওয়ার সময় হাসিল নির্ধারণ করে দেয়। বিষয়টি সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভারই তদারকি করার কথা। তবে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হলে জেলা প্রশাসনও ব্যবস্থা নেবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com