শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী:
রাজশাহীর বাঘায় র্যাব পরিচয়ে এক গুড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামের এক জনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৫ এর সদস্যরা। তবে সে সাংবাদিক পরিচয়ও বহন করে থাকে। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বাঘা উপজেলার তেথুলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে চারঘাট মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ওসি মাহাবুবুল আলম জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর কথিত অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকার পরিচয়ধারি কতিপয় সাংবাদিক নিজেদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার র্যাব সদস্য’র পরিচয় দিয়ে চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের গুড় ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেনের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি দেয়। এতে গুড় ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মামলা ও আটকের ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্তরা। পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দেন গুড় ব্যবসায়ী। এই টাকা নিয়ে তারা চম্পট দেয়। পরে ভুক্তভোগী ইব্রাহিম হোসেন জানতে পারেন তারা কেউ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নন। রা ভূয়া র্যাব পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে। এরপর ভুক্তভোগী ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় সাংবাদিক তারিক হোসেনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে চারঘাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন। তারিক হোসেনের দেয়া তথ্যমতে বুধবার দুপুরে রবিউল ইসলামকে র্যাব-৫ এর সদস্যরা তেথুলিয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। রবিউল ইসলাম বাঘা উপজেলার তেথুলিয়া মাঝপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিউলের বিরুদ্ধে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও এতিম খানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও বাঘা থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে ছিলেন রবিউল ইসলাম। সে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য বলেও জানা যায়। উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীতে অনলাইন নিউজ পোর্টালের কার্ডধারী অনেক সাংবাদিক রয়েছে। আবার অনেকে ঢাকা থেকে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের কার্ড কিনে আনছেন। শুধু তাই নয় পত্রিকা নিয়মিত ছাপা হয় না এবং রাজশাহীতে আসেনা এই ধরনের কার্ডধারী প্রতারকরা সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন থানা, সরকারী দপ্তর, ইট ভাটা, বিস্কুট ফ্যাক্টরী, ভূমি অফিসে চাঁদাবাজি করে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিউজের ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে পেট চালায়। গর্ব করে বলে ওমুক জায়গায় গেছিলাম আজ ভালো ধান্দা হয়েছে। খরচ মোটরসাইকেলের তেল খরচ আর হোটেলের খাওয়া খরচ বাদে ৫ হাজার টাকা কাজ হয়েছে। এরা বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইনের বুম ব্যবহার করে। কোন টার্গেটের স্থানে গেলে ৪/৫টা বুম আর বড় ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করে। সবাই ভাবে টেলিভিষন চ্যানেলের সাংবাদিক। একবার ক্যামেরা ধরলেই খবর আছে। বি বলতে কি বলবে পুলিশ প্রশাসন অভিযান করে ধরে নিয়ে যাবে। তাই ভয়ে এই সব বড় সাংবাদিকের সম্মানী দিয়ে দেন গ্রামে অঞ্চলের বিস্কুট ফ্যক্টরীর মালিক, পুকুর খননকারী, ইট ভাটার মালিকগণ সহ কাগজপত্র ঠিকঠাক নাই এই ধরনের প্রতিষ্ঠান। এরা আবার স্থান ভেদে ভুয়া র্যাব, ভুয়া সাজেন্ট, ভুয়া পিবিআই, ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট, ভুয়া ডিবি, ভুয়া দুদক অফিসার পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা প্রতারণা করে। ধরাও পড়ে। আবার জামিনে এসে পূর্বের কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। এরাই মূলত সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি সচেতন মহলের।