মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
১৭ জানুয়ারী। বাংলা ৩ মাঘ। পদ্মা নদীর কোলঘেঁষে রাজশাহী অঞ্চলে কয়েকদিন থেকে বইতে শুরু করেছে কনকনে হাড়কাপানো ঠান্ডা হাওয়া। দিন-রাত ২৪ঘন্টাই কুয়াশা পড়ছে তবে দুপুরের দিকে একটু হালকা কুয়াশা পড়লেও বিকাল থেকে পূর্বের রুপে ীপরে যাচ্ছে। মধ্যরাতে ঘন কুয়াশার কারনে যানবাহন গুলি হেডলাইট জালিয়ে ধীর গতিতে চলতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে মাঘ মাসের হাড় কাপানো শীতে পদ্মা-পাড়ের রাজশাহীতে ফুটপাত-সহ বিভিন্ন হাটবাজারে বসতে শুরু করেছে গরম কাপড়ের অস্থায়ী দোকানপাট। এ সব দোকানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ পছন্দমত গরম কাপড় কেনার জন্য ভিড় করছেন। বিশেষ করে নিম্নও মধ্য আয়ের মানুষের ভীড় লক্ষ্যণীয়।
বুধবার (১৭ জানুয়ারী) সরেজমিনে নগরীর কাটাখালি-বাজার, বিনোদপুর বাজার, কাজলার মোড়, গণকপাড়া, জিরোপয়েন্ট, বড়মসজিদ, নিউমার্কেট, লক্ষীপুর বাজার, কোটবাজার রেলওয়ে স্টেশন মোড়, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের রাস্তার পাশের ফুটপাত ও পবা উপজেলার নওহাটা বাজার ঘুরে দেখা গেছে- রাস্তার পাশের ফুটপাতে অস্থায়ী ভিত্তিতে মৌসুমী গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান নিয়ে বসেছেন। প্রতিদিন বেচাকেনাও ভাল হচ্ছে।
তবে তাদের মতে এখন মাঘমাস প্রচন্ড শীতপড়া শুরু হয়েছে। তাই শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বয়সীদের শোয়েটার, টুপি, মাফলার, প্যান্ট, সার্ট, গেঞ্জি, কোট, উলের তৈরি কাপড়, জ্যাকেট ইত্যাদি। তবে বিশেষ করে এ বছর বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড়চোপড় বেশি। বাচ্চাদের কাপড়ের চাহিদাও অনেক বেশি রয়েছে বলে জানান ব্যবসারীরা।
চাহিদা ও ব্যবসা ভাল হওয়ায় শহরের পাশাপাশি মফস্বল অঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজারেও মৌসুমী ব্যবসারীরা গরম কাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে। এখানে হাটবাজারে নির্ধারিত দিন তারা গরম কাপড় বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ছোটখাটো বাজারেও শীতের গরম কাপড় বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। এখানে শীত বাড়ার সাথে সাথে মৌসুমি শীতের গরম কাপড় ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা প্রতিবছরই বাড়ে। নগরীর গণকপাড়া এলাকায় অস্থায়ী গরম কাপড়ের মার্কেটে তামান্না হাবিব নিশু তার ৪ বছরের ছেলে আজান-এর জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, প্রতি বছর গরম কাপড় কেনার জন্য এই অস্থায়ী মার্কেটে আসেন। এখানে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় স্বল্প মূল্যে কিনতে পারেন বলে জানান তিনি। নগরীর কাজলা এলাকা থেকে আসা মিন্টু নামের এক ক্রেতা বলেন, জ্যাকেট কিনতে এসেছেন তিনি। গত বছর এই মার্কেট থেকে ভাল মানের জ্যাকেট কম দামেই ক্রয় করেছেন তিনি। এবছরও ভাল জ্যাকেটের সন্ধানে এসেছেন। তবে মার্কেটে গতবারের তুলনায় দাম বেশি। তাই পছন্দের জ্যাকেট কিনতে পারছেন না। আর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যেসব জ্যাকেট মিলছে সেগুলো তেমন একটা পছন্দ হচ্ছে না। জানতে চাইলে গরম কাপড় ব্যবসায়ী আকাশ জানান, প্রতি বছর তারা শীতের সময় গরম কাপড়ের দোকান দিয়ে থাকেন। এখানে ২০-৩০ টি দোকান বসেছে। দোকানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩/৪ হাজার টাকারও কাপড়চোপড় পাওয়া যায়। তবে এখন প্রচন্ড শীত তাই বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।