মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিরোধী দল-জামায়াত- বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা নির্বাচন ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা পুলিশ-সহ সকল বাহীনির সদস্যদের জণগনের জানমালের নিরাপত্তা দিতে রাজপথে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। যে কোন ধরনের অরাজকা ঠেকাতে তৎপর রয়েছেন তারা। আরএই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি থানার পদ্মার চরে অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার আইয়ুব সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, মাদকের গডফাদার চরের ইমরানের ছেলে আক্কাস গ্রেফতারের পরে চরে মাদক কারবারে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছিলো। তবে সেই শূণ্যতা বেশি দিন থাকেনি। আক্কাশের দীর্ঘদিনের অবৈধ কারবারের প্রতিপক্ষ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আইয়ুব সেই শূণ্যতা পূরুণ করেছে। এমনই অভিযোগ একাধীক চরের বাসিন্দাদের।
অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার আইয়ুব, সে কাটাখালী থানাধীন মিজানের মোড় এলাকার মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সিমান্ত ১০নং পিলার থেকে অস্ত্র ও মাদকের চালান এপারে নিয়ে আসে আইয়ুব ও তার সিন্ডিকেটেরে সহযোগীরা।এপার বলতে মূলত চর-শ্যমপুর মিজানের মোড় তার নিজ এলাকায়। সেখানে রয়েছে তার ছোট ভাই নয়ন। সম্প্রতী নয়নকে ২শত গ্রাম হেরোইন, ৫ রাইন্ড গুলি ও ২টি পিস্তল-সহ তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৫, এর সদস্যরা। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে সে। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, মাদক-সহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে নয়নের বিরুদ্ধে। এদিকে তার ভাই আইয়ুব এর নামে রয়েছে মাদক মামলা-সহ একাধীক ওয়ারেন্ট। তবে চরশ্যামপুরে বাড়িতে থাকে না সে। গ্রেফতার এড়াতে আইয়ুব তার চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যদের নিয়ে চরের ১০ নং পিলারের আশপাশের এলাকাতে বসবাস করে। তবে মাঝে মধ্যে মিডিল-চরেও অবস্থান করে থাকে। আইয়ুবের সহযোগী জনৈক বালুর ঘাটের মোঃ আমিনুল ও শহিদুল মেম্বার। এরা প্রত্যেকেই একাধীক মামলার আসামী। তবে শহিদুল মেম্বারের বিরুদ্ধে কাটাখালী থানায় অস্ত্র মামলা, ডিবি পুলিশকে হামলা মামলা-সহ চারটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে আইয়ুব ও শহীদুল মেম্বার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে অস্ত্র ও মাদকের কারবার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক চরের বাসিন্দারা জানায়, আক্কাশের অবর্তমানে পদ্মার চরের মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় আইয়ুব ও শহীদুল মেম্বারের একক অধিপত্য। তবে এদের অনেক সহযোগী ও শাখা প্রশাখা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলবে এমন কোন বাসিন্দা পদ্মার চরে নেই বলেও জানায় তারা।