বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন

News Headline :
ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪ উদযাপনের আজদ্বিতীয় দিন ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লালন মেলা হতে চুরি হওয়া ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ন্যায় বিচার পেলে আওয়ামী লীগের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে-নওগাঁ জামায়াত আমির রাবি’তে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসীদের গুলি ল্যাংড়া বিপু গুলিবিদ্ধ পাবনায় স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল সমর্থক হামলা-পাল্টা হামলা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

রাজশাহী আদালতের চুরি হওয়া ৬০১টি নথি দেড় বছরেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
গত বছরের ২৪ মার্চ রাতে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের-০৪ রাষ্ট্রপক্ষের তিন সহকারী কৌসুলি এপিপি জালাল উদ্দীন, বজলুর রহমান ও সোহেলা আক্তার ডানার মোহরার হোসেন আলীর বাড়ি থেকে মামলার ৬০১টি নথি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ মার্চ মোহরার হোসেন আলী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর প্রায় দেড় বছর ধরে পুলিশ তদন্ত করলেও মামলার ক‚লকিনারা করতে পারেনি। বর্তমানে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠিয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর সিআইডি নতুন করে মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে হারিয়ে যাওয়া নথি উদ্ধার না হওয়ায় প্রভাব পড়ছে বিচারিক কাজে। এঘটনায় আইনজীবীরা বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর কোনো কুল কিনারা করতে না পারাটা উদ্বেগের বিষয়। তবে পুলিশ বলছে, মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় সিআইডিতে নেওয়া হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২৪ মার্চ রাজশাহীর ৮টি থানার মাদক, মারধর ও চুরির ঘটনায় করা ৬০১টি মামলার নথি রাজশাহী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর রাষ্ট্রপক্ষের তিন সহকারী কৌঁসুলির কাছে বিচার কাজ পরিচালনার সরবরাহ করে পুলিশ। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সব নথি মুহুরি হোসেন আলীর কাছে রাখতে দেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে সেখানেই। ২৬ মার্চ মহুরির বাড়িতে চুরি হয় নথিগুলো।চুরি হওয়া নথিগুলোর মধ্যে আছে মোহনপুর থানার ৭০টি, বাঘার ৪২টি, দুর্গাপুরের ৬০টি, বাগমারার ৮১টি, পুঠিয়ার ৭২টি, তানোরের ১১২টি, চারঘাটের ৮৩ টি ও গোদাগাড়ী থানার ৮১টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া ১৮১টি মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিও আছে। নথি চুরির পর গত বছরের ২৬ মার্চ নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি চুরি মামলা করেন হোসেন আলী।এ ব্যাপারে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করছিলেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জীবন চন্দ্র বর্মন। দীর্ঘ সময়েও এ ঘটনার রহস্য জানা যায়নি। নথিও উদ্ধার হয়নি। এ কারণে মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী মোস্তাসিন গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার নথিপত্র বুঝে নিয়েছেন।’আদালতের এপিপি বজলুর রহমান বলেন, ‘মামলাগুলোর একটা কপি আদালতে আছে। তাই মামলা পরিচালনায় কোন সমস্যা হচ্ছে। ওই মামলাগুলোর অনেকগুলোরই ইতোমধ্যে বিচার শেষ হয়েছে। অন্যগুলো চলমান আছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা পরিচালনার স্বার্থেই নথিগুলো এপিপিদের দেওয়া হয়। রাখার স্বার্থে কিংবা সহকারী হিসেবে মোহরারের কাছে নথি থাকে। চুরির ঘটনা কেন, সেটি তদন্তকারী সংস্থাই অনুসন্ধান করবে।’রাজশাহী সিআইডির পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল জলিল বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর মামলাটি আমাদের তদন্ত করতে দিয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে ছুটিতে আছেন। তিনি আসার পর দ্রæত তদন্ত কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।’অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, অপরাধীদের সুবিধা দেবার পাশাপাশি বিচারিক কাজ বিলম্বিত করতে এমনটি করা হয়েছে কিনা তার অনুসন্ধান প্রয়োজন। তবে তারা এটিকে রহস্যজনকও বলছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com