বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী,রাজশাহী :
মাদক সেবনের জন্য টাকা প্রয়োজন। আর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা টাকা চাইলেই তা দিতে হবে। যদি কেউ বলে টাকা নেই অথবা দেয়া যাবেনা, এমন কথা বললেই তার ঠিকানা মেডিকেল।
সম্প্রতী বুধবার (১৩ জুলাই) ১০০টাকা না দেয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পিয়াস (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রকে বে-ধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে রামেকের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত কিশোর পিয়াস, সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার মোঃ আজাদ আলীর ছেলে। সে টি.টি.সি’তে পড়াশোনা করে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে আহত কিশোরের ভাই মোঃ রমজান আলী জানান, বুধবার সন্ধা ৭টার দিকে পিয়াস গরুর খাদ্য ভুশি কিনতে হাজরা পুকুর ভাই ভাই স্টোরে যায়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব আমার ছোট ভাইকে ডেকে ১০০টাকা চায়। পিয়াস টাকা নেই বলে তাকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব, জনৈক জিম, রাব্বি, আশিক, ইমন, শুভ, রাকিব(২), সিয়াম সহ ১৪/১৫জন কিশোর স্কুল ছাত্র পিয়াসকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় হাজরা পুকুর খালেক কানার মাঠে। এরপর সেখানে তারা জিআই পাইপ, চাপাতি, চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যপক আঘাত করে। তবে তার মাথার আঘাতগুলি গুরুতর। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় পিয়াসকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে রামেকের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসা শেষে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করবেন বলেও জানান স্কুল ছাত্রের ভাই রমজান আলী।
উল্লেখ্য, খালেক কানার মাঠটাই মূলত কিশোর গ্যাংয়ের টর্চার সেল। সেখানে তারা সন্ধার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবন করে এবং টাকা চাইলে তাদের কথা রাখেনা এইরকম লোকজনকে মারধর করে। এভাবেই তারা ভয়ংকর হয়ে উঠছে। দিন দিন বাড়ছে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।
এ ব্যপারে জানতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলীর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।