বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীতে দুস্কৃতিকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার সেই শফিকুল ইসলাম জনির (৩৩) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় সোমবার (৯ জানুয়ারী) সকালে নিহত জনির বড় ভাই রিয়াজ সাইদ বিপ্লব বাদী হয়ে মহানগরীর রাজপাড়া থানায় একটি ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৩, তাং-০৯/০১/২০২৩।
আসামীরা হলো: মহানগরীর রাজপাড়া থানার কজিহাটা এলাকার মোঃ তৌফিকুর রহমান বাবু (৫২), মোঃ শাহীন (৫৫), কিশোর (২০) প্রসেনজিৎ (২২), সহ ৪/৫ জন। নিহতের বড় ভাই মামলার বাদী রিয়াজ সাইদ বিপ্লব জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় সাহেব বাজারে আমার কাপড়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলো আমার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম জনি। পথে রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর মিশন হাসপাতালে সামনে পৌঁছানো মাত্র পূর্ব শত্রæতার জের ধরে একদল দুস্কৃতিকারী আমার ভাইকে ধরে দড়ি দিয়ে দুই হাত বেঁধে ফেলে। এ সময় তারা জিআই পাইপ, রড, হাতুড়ি দ্বারা তার কপাল, ঘাড়-সহ পুরো শরীরে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে জনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুস্কৃতিকারীরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে, তারা জনিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে আমার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আমি স্থানীয়দের সথে নিয়ে জনিকে পূণরায় রামেক হাসপাতালে নিয়ে ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করি। ওই ওয়ার্ডের ২নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টানা তিন দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত (৭ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় জনি মারা যায়। এরপর রামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার (৮ জানুয়ারী) দুপুরে জনির লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এদিন বাদ আসর জনির জানাযার নামাজ শেষে দাপন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানায় মামলার বাদী।
জানতে জাইলে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, দুস্কৃতিকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার জনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যপারে জনির বড় ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ বলেও জানান ওসি।