রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
প্রেসিডেন্ট পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দিন চুপ্পু আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ায় পাবনার মানুষের মধ্যে আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এ উপলক্ষেপাবনা জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও নাগরিকগণেরআয়োজনে একটিআনন্দ র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিকসহআওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে প্রেসিডেন্ট পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন চুপ্পু আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ায় পাবনার মানুষের মধ্যে আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও আনন্দ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষও। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পাওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ফুটপাতের দোকানসহ পথচারীদের মাঝে মিষ্টি বিরতণ করা হয়। পাবনা থেকে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।শাহাবুদ্দিন চুপ্পু পরিবারের চার ভাই ছয় বোনের মধ্যে সবার বড়। এর আগে তিনি জেলা জজ, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। তার পাবনার বাড়িতেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এ উপলক্ষে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন চুপ্পুর ছোট বোন ফারজানা মহিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন চুপ্পুর বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম, পাবনা সিরাজগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী নাদিরা ইয়াসমিন জলী এমপি, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লায় জন্ম গ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।