শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

পাবনার লক্ষিকুন্ডায় সরকারী ভ্যাট-ট্যাক্স না দিয়েই হাটের খাজনা আদায় শুরু

Reading Time: 2 minutes

জিল্লুর রহমান জিবন, ঈশ্বরদী পাবনা:
পাবনা ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব মোড় হাট বাজারের সরকারী ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ না করেই অবৈধ ভাবে খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চলতি বছরের হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে বাংলা ১৪৩০ সনে ৭৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় আলহাজ্ব মোড় হাট বাজারের সর্বোচ্চ দরদাতা হন তরিকুল ইসলাম। তবে সরকারী ১৫% ভ্যাট বাবদ ১১লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১০% আয়কর বাবদ ৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ না করেই হাটের খাজনা আদায় করেছেন তরিকুল ইসলাম।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এবছর তরিকুল ইসলাম আলহাজ্ব মোড় হাট বাজার পেয়েছে বলে শুনেছি। তাই পহেলা বৈশাখ থেকে তারাই খাজনা আদায় করছে। এ বিষয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, ৭৬ লক্ষ টাকার মধ্যে অধিকাংশ টাকায় আমরা জমা দিয়েছি। ভ্যাট ট্যাক্স বাবদ কিছু টাকা বাকি আছে আমরা দ্রুতই সে টাকা পরিশোধ করবো। প্রথম দুই দিনে আমরা মাত্র ৩০০-৮০০ টাকা মতো খাজনা আদায় করেছি।
সরকারী ভ্যাট ও আয়করের প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা বাকি থাকার পরও আপনাকে হাটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিল কে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর দেন নি তরিকুল ইসলাম।
এদিকে গত ৫ মার্চ ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস সাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয় তরিকুল ইসলাম কে। যেখানে স্পষ্টভভাবে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি সকল পাওনাদি পরিশোধে ব্যর্থ হলে দাখিলকৃত দরপত্রের সাথে জামানত বাবদ বিডি আকারে দেওয়া টাকা সরকার বরাবর বাজেয়াপ্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং সরকারি সকল পাওনাদি পরিশোধ সহ চুক্তিনামা সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই হাটের দখলদার হস্তান্তর করা হবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাক্ষরিত ঐ চিঠিতে যেখানে এমন সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে সরকারি সকল পাওনাদি পরিশোধে ব্যর্থ হলে জামানত বাবদ বিডি আকারে দেওয়া টাকা বাজেয়াপ্ত করা সহ কোন অবস্থাতেই হাটের দখলদার হস্তান্তর করা হবে না। তাহলে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা (ভ্যাট+ট্যাক্স) বাকি রেখে তরিকুল ইসলাম কিভাবে হাটের দখলদার বুঝে পেলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন,
চলতি বছরে ঐ হাটের দ্বিতীয় দরদাতা আব্দুল লতিফ জানান, ১৪২৮ বাংলা সনেও তরিকুল ইসলাম এ হাটের ইজারা নিয়েছিলেন। তখনও সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দরপত্র জমা দিলেও সরকারী পাওনাদি পরিশোধ করেন নি তিনি। পরে সরকারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খাস কালেকশনের নামে হাটের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। এবছরও সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দরপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা পরিশোধ করেন নি। এবার ও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খাস কালেকশনের নামে অর্থ হরিলুটের ধান্দায় আছেন তারা। এভাবেই সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com