রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা:
৯ই অক্টোবর,শোভাবাজার সংগ্রামী ক্লাব এ ইউ টি এইচ, এন ইউ ভি ভি এ এবং সুইচ অন ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায়,, দুপুর তিনটে ,,রোটারি সদনে, সীমিত পরিবেশগত সম্পদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্গাপূজা প্রতিমা প্রস্তুতিতে পুনর্ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন,সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , সুইচ অন ফাউন্ডেশন এর পরিচালক শ্রী বিনয় জাজু, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের মুখ্য আধিকারিক শ্রীমতি মানসী রায় চৌধুরী, শোভাবাজার সংগ্রামী ক্লাবের মুখ্য আধিকারিক শ্রী প্রবীর মিত্র ও উপ মূখ্য আধিকারীক দেবুলাল তালুকদার ,94.3 রেডিও ওয়ান থেকে আর জে অরবিন্দ ,,সুইচ অন ফাউন্ডেশন মিসেস রঞ্জিতা ভট্টাচার্য এ ইউ টি এইচ ,,এন, এর থিম আর্টিস্ট শ্রীমতি রক্তিমা ব্যানার্জি, পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষক জনাব মফিজুর রহমান সহ আরো অনেকেই সম্মেলনের যোগ দিয়েছেন , এবং ঐতিহ্যশালী দুর্গাপূজায়,পরিবেশ গত প্রভাব, এবং কিভাবে টেকসই উপকরণ ও পুনঃ ব্যবহারের দিকে একটি পদক্ষেপ ও পরিবেশবান্ধব এবং আরো দায়িত্বশীল উদযাপনের অবদান রাখতে পারে তার উপর আলোকপাত করলেন। আলোচনার মাধ্যমে।দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় পরিবেশ বান্ধব অনুশীলন গ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ছিল এই সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্য।এই বছর শোভাবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি একটি নতুন থিম এর ঊর্ধ দিয়ে মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চলেছেন, যে থিমটির মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা অনবদ্য এবং ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক্স পদার্থ দিয়ে কিভাবে একটা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা যায় ও থিম তৈরি করা যায় তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এবং পরিবেশগত সচেতনতা মানুষের কাছে বারবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে।এবারে পুজোর মূল আকর্ষণ,, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য ও ধাতব বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি,,,,, যেমন ডিভিডি, সি ডি, কিবোর্ড ,ঘড়ি ,সিপিইউ, মনিটর, বাতিল তার এবং আরো অনেক কিছু দিয়ে মন্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জার তৈরী,কাজে লাগানো হয়েছে।, এবং পুরো মণ্ডপ টি তুলে ধরা হয়েছে।, আগে আগে কখনো কোন পুজো প্যান্ডেলে এই ধরনের জিনিস দিয়ে থিম তৈরি হয়নি, সোভাবাজার,সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, এই থিমটি তুলে ধরার উদ্দেশ্য জনসাধারণকে সম্পূর্ণ ব্যবহারে গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং ব্যক্তিগত সামাজিক স্তরে পদক্ষেপকে অনুপ্রাণিত করায় মূল উদ্দেশ্য,ক্লাবের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোন জিনিসই ফেলার জিনিস নয়, অকেজো হয়ে যাওয়ার পরেও সেটাকে কিভাবে রূপ দেওয়া যায়, এবং জনগণের কাছে তুলে ধরা যায় আমরা তারই চেষ্টা করেছি,
যারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং এই ধরনের একটি থিম উপহার দিয়েছেন আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ,কৃতজ্ঞ মিডিয়া বন্ধুদের কাছে, আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন এবং মানুষের সামনে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন,কৃতজ্ঞ সুইচ অন ফাউন্ডেশন কে যিনি এই মণ্ডপটি এইভাবে তৈরি করার জন্য ,বস্তুগুলি সংগ্রহ করার আগ্রপ্রকাশ করেছিলেন এবং আমাদের সাথে সহযোগিতা করেছেন, কৃতজ্ঞ টেকনো ইন্ডিয়া এর মুখ্য আধিকারিক মানসী রায় চৌধুরীকে, ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা তৈরি দুর্গা প্রতিমা আমাদের প্যান্ডেল কে আলোকিত করেছেন,যোগ্যতা জানালেন সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিকে যারা শিল্পীদেরকে সুযোগ করে দিয়েছেন এবং উৎসাহিত করেছেন এই ধরনের থিম তুলে ধরার জন্য,দুর্গা পূজার সকল দর্শকদের প্রতি আগাম শুভেচ্ছা জানালেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং তার সাথে সাথে জানালেন আসুন,, মন্ডপ ঘুরে দেখুন এবং উপভোগ করুন ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি ইলেকট্রনিক্স পদার্থ দিয়ে কিভাবে মন্ডপকে সাজিয়ে তুলেছেন,, আপনাদের বিচারই আমাদের এগিয়ে চলার পথ, আমাদের স্বপ্ন পূরণ,,,, কোন পদার্থই ফেলে দেওয়ার জিনিস নয়, আপনাদের সেই সচেতনতার বার্তায় দিতে চলেছি।। আফিম এর মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন কলেজের ছাত্র,ছাত্রীরা।