বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শেখ মোঃ ইব্রাহীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নে চেত্রা নদীর ওপর প্রায় ৭০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটির নির্মাণ কাজ আবার গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। এতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। গত পাঁচ দশক ধরে এই নদীর ওপর একটি পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। প্রায় ২৭ বছর আগে এলাকাবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগ নেন বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণের। এলাকাবাসীরা জানান, সাঁকোটি ব্যবহার করা হয় প্রতিবছর অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। বাকি মাসগুলো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় খুলে ফেলা হয়। বর্তমানে নদীর পানি কমেছে। তাই সাঁকোটি পুনঃর্নির্মাণ শুরু হয়েছে। ১৫ জন শ্রমিকের রাত-দিন পরিশ্রমে আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে নির্মাণ কাজ। প্রথমে এই বাঁশের সাঁকো তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭ লাখ টাকা। এরপর থেকে প্রতিবছর পুনঃর্নির্মাণে খরচ হয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। এ সময় আগের সাঁকোর পুরোনো কিছু বাঁশ, কাঠসহ নানা সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাঁকোটি ব্যবহার করেন, অরুয়াইল ইউনিয়নের রানীদিয়া, কাকরিয়া, রাজাপুর চরকাকরিয়া, বুনিয়ারটেক, ধামাউড়া, দুবাজাইল, সিঙ্গাপুর এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের ফতেহপুর, পরমান্দপুর, হরিপুর, ষাটবাড়িয়া এবং বড়ইছাড়াসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। এ ছাড়া অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও বাজিতপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষও ব্যবহার করেন এই সাঁকো। অরুয়াইল ইউপির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাবাসী এখানে সেতুর দাবি করে আসছেন। এসব গ্রামের মানুষের অর্থনীতির প্রধান কেন্দ্র অরুয়াইল বাজার। সেখানে রয়েছে সহ¯্রাধিক দোকানপাট। অরুয়াইল বাজার ও আশপাশেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেখানে একটি স্থায়ী সেতু না থাকায় দুর্ভোগে ভুগছেন এই এলাকার মানুষ। তারা শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছেন। তাই এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে বাঁশের এই দীর্ঘ সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, চেত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।