শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সরকার আরিফ ইখতেখার,পাবনা:
মঙ্গলবার ২৫ জুলাই ভোর ৫:০০ ঘটিকায় সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুদ হোসেন এর নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মনিরুজ্জামান।করমজা ইউনিয়নের সি এন্ড বি চতুর বাজার এলাকায় সাঁথিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় জটিল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত গরু জবাই এর উদ্দেশ্যে পরিবহন করার অপরাধে বেড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড হাতিগাড়া মহল্লার গফুর প্রামাণিকের ছেলে আলতাফ হোসেন কে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১১ অনুযায়ী ১৫ (পনেরো) দিনের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।এসময় আলতাফ হোসেন,কে তিন টা রোগাক্রান্ত গরুসহ আটক করা হয়। উলজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার জানান,আটককৃত গরুগুলো এলএসিড (LSD) নামক জটিল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত।গবেষণার তথ্য মতে,লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) একটি ভাইরাসঘটিত রোগ যা মূলত গৃহপালিত গরু এবং মহিষকে আক্রান্ত করে। প্রাণীর গায়ে ফোসকা দেখে প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত করা হয়। লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়লে গরু পালনের সাথে জড়িত সকলে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে প্রান্তিক খামারিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই রোগের ফলশ্রুতিতে গরু থেকে মাংস উৎপাদন এবং দুধ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হিসেবে আসে গর্ভপাত এবং অনুর্বরতার মতো বিষয়গুলো।লাম্পি স্কিন ডিজিজ নির্দিষ্ট পোষকের দেহে আক্রমণ করে। এই পোষকের মধ্যে আছে গরু এবং এশিয়ান মহিষ তবে মহিষে আক্রান্ত হওয়ার হার খুব কম। কিন্তু গরুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়ানোর প্রধান কারণ হতে পারে এক খামার থেকে অন্য খামারে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এমন কি এক দেশ থেকে অন্য দেশে গরু নিয়ে যাওয়া। মূলত এই গরু স্থানান্তরের মাধ্যমে অনেকদূর পর্যন্ত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর মশা, মাছির মাধ্যমে কাছাকাছি স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত যে মশা, মাছিগুলো পোষকের দেহ থেকে রক্ত পান করে তারাই এ রোগের জীবাণু বহন করে। এক এক এলাকায় একেক ধরনের বাহকের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে। তবে এই রোগের ভাইরাসটি সাধারণত বাহকের শরীরে বংশবিস্তার করে না।এই রোগা আক্রান্ত গরুর মাংস খাওয়া যাবে না। এল এসডি আক্রান্ত গরুর মাংস খাওয়ার ফলে হুমকির মুখে পড়বে জনস্বাস্থ্য।স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিল পদপ্রার্থী আলতাফ হোসেন দীর্ঘদিন প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে অসুস্থ রোগাক্রান্ত গরু ও গরুর মাংসের ব্যবসা করে আসছে। কেউ কিছু বললে হুমকি দিতো। আলতাফ এর সাথে আরো বড় চক্র জড়িত থাকতে পারে। প্রশাসন কে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ স্থানীয় সচেতন মহলের।সাঁথিয়া উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সি এন্ড বি চতুর বাজার এর বনলতা রেষ্টুরেন্ট এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে। তিনটি রোগাক্রান্ত গরু সহ আলতাফ নামের একজন ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।পরে তাকে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১১ অনুযায়ী ১৫ (পনেরো) দিনের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।