শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সাব্বির মির্জা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের তাড়াশ নিমগাছি পাকা রাস্তার ধানকুণ্ঠি (সরাতলা) থেকে মাধাইনগর পর্যন্ত চার কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি যুগেরর পর যুগ পেরিয়ে গেলেও পাকা না হওয়ায় ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম দূর্ভোগে।
তাড়াশ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তর পুর্ব দিকের শুভার,মাদার জানি,ঠাকুরপুকুর ও বুড়াপীর সহ ওই ৫ টি গ্রাম অবস্থিত। গ্রাম বাসীর অভিযোগ ,গ্রামের পাশদিয়ে চলে যাওয়া কাচা সড়কটি দীর্ঘ দিনেও পাকা করা হয়নি।
বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে গ্রাম বাসীকে চলাচল করতে হয়।ওই সকল গ্রামের অধিকাংশ মানুষই আদিবাসী ও কৃষির উপর নির্ভরশীল। সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য হাটে বাজারে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ঠ ভোগ করতে হয়। এবং কৃষি পন্য বহনে গুনতে হয় তিন গুন ভাড়া।সড়কের পাশে ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ও রোগীদের হাসপাতালে আশ্-াযাওয়ায় কষ্ঠের শেষ থাকে না। মাদারজানী গ্রামের মোঃ আবুল বাশার সরকার জানান, আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি। কিন্তু সেই উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করতে গেলে আমরা বাজার মুল্যের চেয়ে কমপাই।আমাদের অধিক গাড়ীভাড়া দিয়ে ধান হাটে নিতে হয়। এতে কৃষকের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাাধিত হয়। তিনি আর ও জানান, গত বছর এলাকার জনসাধারন স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ওই রাস্তা সংস্কার করেছিল এবং উপজেলা প্রকৌশল অফিসে রাস্তাটি পাকা করনের জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন আমাদের আস্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলে ও কোন খবর নেই। সুভার গ্রামের এনামুল জানান, নির্বাচনের সময় সকল এমপি ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বার বার রাস্তাটি পাকা করনের প্রতিশ্রæতি দিলে ও পরে আর কারো মনে থাকে না। মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সেরাত আলী জানান, ওই কয়েকটি গ্রামের মানুষের বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের খুব কষ্ঠ হয়। বিশেষ করে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে অধিক ব্যয় করতে হয়।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবু সাইদ জানান, রাস্তাটির ব্যাপারে আমার জানা নেই দেখতে হবে। তবে যদি আইডি নম্বর পরে থাকে তবে পাকাকরণ কাজ হবে।