বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হযরত বেল্লাল,গাইবান্ধা:
টানা বর্ষন এবং উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় অনেক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। অব্যাহত টানা বর্ষনে চরের পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর , চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। বেসরকারি পানি মাপক যন্ত্রের পরিসংখ্যান মোতাবেক পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় বসবাসকারি পরিবারগুলে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের অনেক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। অনেকে উচু স্থানে টিনের চালাতুলে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে অবস্থান করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া চরাঞ্চলে চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না।কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের আকবর আলী জানান, চরের মানুষ কষ্ট করতে করতে কঠিন হয়ে গেছে সে কারণে ছোটখাট বন্যা তাদের নিকট কষ্ট মনে হয় না। তার ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে গেছে, তারপরও তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অনেক কষ্ট করে থাকতে হয়। সে কারনে বাড়িতে রয়েছি।হরিপুরের ডাঙ্গার চরের করিম মিয়া জানান, গত শনিবার রাত হতে তিস্তার পানি অনেকটা বেড়ে গেছে। অনেক বাড়িতে পানি উঠছে, তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা পানিতে তলিয়ে গেছে। সে কারণে নৌকা ছাড়া চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মন্জু মিয়া জানান, রোববার সকাল হতে পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূর্গম চরে বসবাসকারি পরিবারগুলে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধি পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সঠিক হিসাব বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়াম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্ধি পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। বরাদ্দ মজুত রয়েছে, চাহিদা মোতাবেক বিতরণ করা হবে।