বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীতে কিশোরগ্যাং এর হামলায় আহত স্কুল ছাত্র পিয়াসের মামাতো ভাই মোঃ রমজান হোসেনের উপর অতর্কীত হামলা চালিয়েছে একই গ্যাংয়ের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন হাজরা পুকুর ডাবতলা মোড়ে এ হামলা র ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার মোঃ রমজান হোসেন। সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন হাজরা পুকুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। রমজান হোসেন জানায়, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডাবতলার মোড়ে চা পান করার উদ্দেশ্যে যান। এ সময় মোড়ে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা জনৈক ইউসুফ আলী সনিসহ তার দলের ১৯/২০ জন সদস্য আমার দিকে এগিয়ে আসে। এ সময় সনি বলে এর জন্যই পিয়াসের ঘটনা মিমাংসা হচ্ছে না। একেই সাইজ কর। এ সময় তাদের সদস্যরা ধারালো চাকু বের করে আমাকে মারতে এগিয়ে আসলে আমি সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই।
উল্লোখ্য, বুধবার (১৩ জুলাই) সন্ধায় স্কুল ছাত্র পিয়াস গোখাদ্য ভুসি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে হাজরা পুকুর ভাই ভাই স্টোরে যাচ্ছিলো। পথে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব পিয়াসকে ডেকে ১০০টাকা চায়। পিয়াস টাকা না দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান জনৈক রাকিব, জনৈক জিম, রাব্বি, আশিক, ইমন, শুভ, রাকিব(২), সিয়াম সহ ১৪/১৫জন কিশোর স্কুল ছাত্র পিয়াসকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় হাজরা পুকুর খালেক কানার মাঠে। এরপর সেখানে তারা জিআই পাইপ, চাপাতি, চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যপক আঘাত করে ফেলে রাখে। এ সময় স্থানীয়রা পিয়াসকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে ৪দিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ছুটি প্রদান করেন। বর্তমানে স্কুল ছাত্র পিয়াস নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ ঘটনা পরেরর দিন বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাতে আহত স্কুল ছাত্রের মা বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ৫দিন পেরুলেও মামলা রুজু হয়নি বলেও জানান তিনি। জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা চন্দ্রিমা থানার এসআই ফারুক জানান, ওসি স্যার ছুটি থাকায় মামলা রুজু হয়নি। আজ মঙ্গলবার তিনি এসেছেন। রাতে মামলা হবে বলেও জানান এসআই ফারুক।