মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো :
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নীতিমালা-২০১৮ বাস্তবায়নসহ বেতন ও অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ। গত শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। উক্ত কমিটিতে সহ-সভাপতি (কেন্দ্রীয়) মনোনীত হয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার প্রবীণ শিক্ষক ও সংগঠক গোলাম আজম। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণ ও বেতন বৈষম্য দুর করণসহ সকল দাবি আদায়ের আন্দোলনে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ স্বতন্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি আদায়ের লক্ষে সর্ব প্রথম বগুড়ায় গঠিত (আবু সিদ্দিক মন্ডল ও ইসরাফিল হোসেন) কমিটির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি সেই কমিটির কেন্দ্রী সদস্য ছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে স্বতন্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। পরে স্বেচ্ছায় তিনি সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেন। এর পরে ২০২১ সালে স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ গঠন হলে তিনি কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি মনোনীত হন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা কেরামতিয়া বালিকা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি একাধিক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। কুড়িগ্রাম জেলা, রংপুর বিভাগসহ সারাদেশে তিনি গোলাম আজম নামেই পরিচিত। এর আগে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন হাফেজ আহম্মদ আলী (নরসিংদী) ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক (নওগাঁ) সহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি পরিচালনা, জন কাঠামো এবং বেতন ভাতা/অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন, রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কোড প্রদান ও নবায়ন চালু ,শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও মেধাবৃত্তি পূর্বের মতো দ্রæত সময়ে চালু, ডাটাবেজকৃত ৭ হাজার ৪৫৩ টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা তালিকা প্রকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিষ্টিটিউট (আইইইআর) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত স্টাডি রিপোর্ট দ্রæত জমাকরণ এবং সুপারিশগুলো বাস্তবায়নজেট আকারে প্রকাশ, এক হাজার ৫১৯ টি অনুদানপ্রাপ্ত শূন্য পদের বিল দ্রুত সময়ে ছাড় ও প্রতিষ্ঠান সংস্কার-মেরামতের দাবি জানান। এদিকে নব নির্বাচিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষকবৃন্দ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।