বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব প্রতিবেদক:
একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দিয়ে শুরু করা যাক।
আর্জেন্টিনার হয়ে এ পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে লাওতারো মার্তিনেজের। গোল করেছেন ১১টি। রেকর্ডটা যে একজন স্ট্রাইকারের জন্য খুব ভালো, তা বলা যাবে না। তবে হতাশা আরও বাড়বে লাওতারোর পারফরম্যান্সের ক্রমাবনতি দেখে। এই ১১ গোলের ৯টা লাওতারো করেছিলেন প্রথম ১৩ ম্যাচে। বাকি ১২ ম্যাচে মেরেকেটে দুটি গোল করতে পেরেছেন। ইন্টারের হয়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্ট্রাইকার যেন হুট করে গোলের রাস্তা ভুলে গেছেন।
লাওতারোর এই বাজে ফর্মও এসেছে বড্ড খারাপ সময়ে। কোপা আমেরিকা চলছে যে এখন! ১৯৯৩ সালের পর এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে চাওয়া আর্জেন্টিনা এবার লাওতারোকে মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে এনেছিল। কিন্তু ২৩ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের যে ফর্ম, তাতে আদৌ তাঁকে খেলিয়ে আর্জেন্টিনা কোনো সাফল্য পাবে কি না, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
কোপার প্রথম দুই ম্যাচে একটাও গোল করতে পারেননি লাওতারো। গোল না পেতেই পারেন, সব স্ট্রাইকারই যে সব সময় গোল পাবেন সেটা বলা যায় না। কিন্তু সমর্থকদের কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছে লাওতারোর খেলার ধরন। ফাঁকা পোস্টে কয়েকটা বাজে মিস করেছেন, যেখান থেকে খুব স্বাভাবিকভাবেই গোল করতে পারতেন তিনি। ফলে লাওতারোকে আদৌ খেলানো যায় কি না, অনেকেই সন্দিহান। লাওতারোর বিকল্প খোঁজার সময় হয়ে গিয়েছে, এমন আলোচনাও উঠছে আস্তে আস্তে।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মূল একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন আনবেন কোচ স্কালোনি। উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বেঞ্চে রাখা হতে পারে পরবর্তী ম্যাচে। সে তালিকায় আছেন লাওতারোও। লাওতারোর জায়গায় খেলানোর জন্য সের্হিও আগুয়েরোর কথা ভাবছেন স্কালোনি, এমনটাই জানিয়েছে টিওয়াইসি স্পোর্টস। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী আগুয়েরোর ম্যাচ ফিটনেস কতটুকু সন্তোষজনক, সে নিয়েও সন্দেহ আছে। আগুয়েরোকে যদি না খেলানো যায়, সে ক্ষেত্রে লাওতারোর বিকল্প হিসেবে নামানো হতে পারে রিভার প্লেটের তরুণ উইঙ্গার জুলিয়ান আলভারেজকে। আর কোনো স্ট্রাইকার দলে নেই আর্জেন্টিনার।
আলেহান্দ্রো গোমেজ কিংবা আনহেল কোরেয়ার মতো তারকারা দলে থাকলেও তাঁদের খেলানো হবে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়। স্কালোনি কখনোই তাঁদের ওপর সেভাবে ভরসা করেননি। লাওতারোর ওপর এত ভরসা করে দলে বাড়তি আরেকজন স্ট্রাইকার না আনাটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে কি না, এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
পাওলো দিবালা নেই দলে। একই অবস্থা জোভান্নি সিমিওনেরও। চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন লুকাস আলারিও। লাওতারো ফর্মে না ফিরলে আর্জেন্টিনার অবস্থা তাই বেশ খারাপ হতে পারে।
টিওয়াইসি স্পোর্টস আরও জানিয়েছে, বাঁ গোড়ালিতে চোটের কারণে পরের ম্যাচে না-ও খেলতে পারেন টটেনহামের মিডফিল্ডার জোভান্নি লো সেলসো। তাঁর জায়গায় দলে ফিরতে পারেন দ্বিতীয় ম্যাচে না খেলা লিয়ান্দ্রো পারেদেস। ওদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করে দলকে জেতানো গিদো রদ্রিগেজ আরও একটা সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। রদ্রিগেজ ও পারেদেসের সঙ্গে তৃতীয় মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানো হতে পারে দ্বিতীয় ম্যাচে লো সেলসোর বিকল্প হিসেবে শেষ দিকে মাঠে নামা এজেকিয়েল পালাসিওসকে।
কিন্তু সব বাদ দিয়ে আলোচনাটা লাওতারোকে ঘিরেই। লাওতারো কি ফর্মে ফিরবেন?