শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ মিজানুর রহমান, নীলফামারী কিশোরগঞ্জ: জনগণের জন্য বিনিয়োগের বিশেষ গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য ক্ষুধা-দারিদ্র,অসুস্থ, লিঙ্গবৈষম্য,অবিচার আর অজ্ঞতার শিকল থেকে মুক্ত করতে মুজিববর্ষে গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান,আশ্রয়ন প্রকল্প-২এর অধীনে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে গৃহহীনদের নিশ্চিন্তে বসবাসের জন্য ৩টি ইউনিয়নের চাঁদখানায় ৩০টি,বাহাাগিলীতে-৫৫টি ও নিতাইয়ে-৮৫টি নতুন ঠিকানা নির্মাণ শেষে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। প্রথম ধাপে ২শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্তসহ ১৪০টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৭০টি দৃষ্ঠিনন্দন চৌচালা টিনের দালান ঘরে ভিক্ষুক,প্রতিবন্ধি,বিধবা,,স্বামী পরিত্যাক্তা ভূমিহীন-গৃহহীন দষ্পতিরা আলাউদ্দিনের চেরাগ (প্রদীপ) পাওয়ার মতো দুর্লভ স্বপ্ন যেন তাদের জীবনে বাস্তব রুপ নিয়েছে। প্রত্যন্ত পল্লীর নৈসর্গিক প্রকৃতিতে একই নকশায় হরেক রঙয়ে রঙ্গিন নির্মাণাধীন এসব পাকা দালানঘর পাওয়ার বাঁধভাঙ্গা আনন্দ-উচ্ছাসে উদ্বেলিত হয়ে ভাগ্য বিড়ম্বিতদের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। আর এসব পরিবার ঘরে উঠার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। ওদের ভিটে মাটি নেই,তাই যেখানে রাত সেখানে কাত এমন যাযাবর রাত কাটানো নিতাই বাড়িমধুপুর গ্রামের বিধবা হাওয়া বেগম,বাহাগিলী উঃদুরাকুটি মাছুয়া পাড়ার গ্রামের প্রতিবন্ধি পেয়ারা বেগম,চাঁদখানা ইউপি’র বগুলা গাড়ি গ্রামের প্রতিবন্ধি মমতা জানান,যেখানে ভাত কাপড় জোটেনা সেখানে পাকা ঘর করা তো দূরের কথা এক টুকরো ইট কেনার বাপের সাধ্য ছিল না। গরীবের স্বপ্নদ্রষ্ঠা শেখ হাসিনার বদান্যতায় আমাদের জীর্ণ কুটিরগুলো এখন সারিবদ্ধ নান্দনিক গ্রাম। তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,আল্লাহ ওনাকে(শেখ হাসিনা) চিরজীবী করুক। উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক সুযোগ সম্বলিত ২ শতাংশ খাস জমিতে প্রতিটি ঘর নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ নির্মাণের মধ্যে থাকছে শোয়ার ২টি কক্ষ, ১টি করে রান্নাঘর, শৌচাগার ও বেলকুনি। আরও থাকছে সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান,মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের ঘর দিনরাত পরিশ্রম করে সরকারী নকশায় উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ঘর ও ভুমিবন্দোবস্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মাসের ২০শে জুন প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘটা করে এসব ঘর হস্থান্তর করা হবে।