শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনা এলজিডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বদলি ঘিরে বিতর্ক  কৃষকের সার সংকটে ভাঙ্গুড়ায় বিক্ষোভ রংপুর- আসনে বিএনপি সংসদ সদস্য প্রার্থী সামসুজ্জামান সামুর গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক  নওগাঁর পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) পৃথক ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট  সহ ২ জন আসামী আটক আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিন…সাবেক এমপি লালু বগুড়ার গাবতলীতে আবারো ৩৯টি ককটেল উদ্ধার ও ধ্বংস, আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অসহায় নেপালের অসুস্থ কন্যা ক্যান্সার রোগী নিশা’কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন সাবেক এমপি লালু বগুড়াতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট আগের মত আবার ফিরবে—-তামিম পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হাতের নাগালেই মাদক

ঝিনাইদহে আম চাষে লোকসানের শঙ্কা

Reading Time: < 1 minute

শেখ ইমন, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি। বাগানে পানি না থাকায় আমে দেখা দিয়েছে কালো দাগ। এর ফলে চলতি মৌসুমে লোকসানের আশঙ্কা করছেন জেলার বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় আমবাগানের জমির পরিমাণ ২ হাজার ৮৮২ হেক্টর। এসব বাগান থেকে আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার মেট্টিক টন। কিন্তু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার, চন্ডিপুর, কামতা মির্জাপুর, কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আমবাগানে গিয়ে দেখা যায় বাগানে ঝুলছে আম্রপলি, ল্যাংড়া, খিরসা, হাড়িভাঙ্গা, হিমসাগরসহ নানা জাতের আম। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে, নিয়মিত প্রতিষেধক দিলেও এর সুফল পাচ্ছেন না বাগান মালিকরা। চন্ডিপুর গ্রামের বাগানের মালিক খয়ের উদ্দিন বলেন, কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি নেই। আম গাছের গোড়ায় পানি নেই কিন্তু তারপরও আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম এবার আম ভালো হবে। এভাবে পড়তে থাকলে গাছে আম টিকবে না। একই গ্রামের ব্যবসায়ী কাদের উদ্দিন বলেন, গত বছর ২ বিঘা আম বাগান কিনেছিলাম। গতবার তো আম্ফানে সব আম পড়ে গেছে, এবারও ২ বিঘা জমির আমবাগান কিনেছি। কিন্তু বৃষ্টি না হাওয়ার কারণে সব শেষ, আমরা তো এবার পথে বসে যাব। আমচাষীদের সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, মৌসুমের শুরুতে আমের মুকুল ভালো ছিল। এখন পর্যন্ত আমে যে গুটি রয়েছে তা ধরে রাখতে পারলে বাগান মালিকরা ভালো ফলন পাবে। কিন্তু এখন আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। এর প্রতিকারে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এ অবস্থায় আম বাগানে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর ঢালাও পদ্ধতিতে সেচ দিতে হবে। সেচ দেওয়ার পর আমগাছের গোড়ায় মাঞ্চিং করে দিতে হবে। তাতে কিছুটা রস ধরে থাকলে গুটি পড়া রোধ হবে। একইসঙ্গে বোরন, দস্তা ও জিংক জাতীয় যে ঔষধ পাওয়া যায় তা গাছে প্রয়োগ করলে সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com