শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ডেক্স নিউজ :
ভারতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে বলে জানানো হয়েছে। আজ ৭মে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে দৈনিক শনাক্তে এটিও নতুন বিশ্ব রেকর্ড। এ নিয়ে ভারতে সরকারি হিসাবেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; এর মধ্যে গত ৭দিনে ২৭ লাখ ২৮ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে । মহামারীর বিস্তার এখন ভারতের পশ্চিম অংশ থেকে ক্রমশ পূর্ব দিকে সরছে বলে এক দিন আগে সতর্ক করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতে সংক্রমণ এখন ঘনবসতিপূর্ণ শহর ছাড়িয়ে দুর্গম গ্রামগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশে ৭০ শতাংশ মানুষের বসবাস গ্রামে। সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশটিতে জানুয়ারি থেকে নাগরিকদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হলেও সরবরাহের ঘাটতি ও পরিবহনজনিত সমস্যায় সম্প্রতি এ কর্মসূচির গতি অনেকখানিই কমে এসেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতজুড়ে কঠোর লকডাউন দেওয়ার দাবি উঠলেও অর্থনৈতিক ধ্বস ঠেকাতে সরকার সে পথে পা রাখতে চাইছে না বলে ইঙ্গিতও মিলেছে। হাসপাতালে শয্যা ও অক্সিজেনের ঘাটতি, ওষুধের সংকটের কারণে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যুও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৯১৫ মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে সরকারি হিসাবেই কোভিড-১৯ এ প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩তে। আক্রান্ত-মৃত্যুর এ সরকারি হিসাবের সঙ্গে একমত নন বিশেষজ্ঞরা। তাদের হিসাবে, ভারতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের অন্তত ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে শিগগিরই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্কও করেছেন। টিকাদান কর্মসূচির শ্লথগতির জন্যও তারা নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে দোষারোপ করছেন। “টিকাদানের গতি বাড়ান, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনুন,” শুক্রবার সরকারের প্রতি এমন আহ্বান রেখেছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসও। রয়টার্স লিখেছে, ভারতের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিমের রাজ্যগুলো মহামারীতে তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মে’র প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণের ৫টি রাজ্যে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণ নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। “প্রাদুর্ভাব এখন পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে তথ্যপ্রমাণে ইঙ্গিত মিলেছে, সেদিককার রাজ্যগুলোতে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুহারের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে,” পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডের দিকে ।কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত ভারতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য পাঠানো অব্যাহত আছে। শুক্রবার দেশটিতে পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ডের পাঠানো কোভিড সহায়তা পৌঁছেছে বলে টুইটারে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ব্যার্থ হলে তৃতীয় ঢেউয়ে পৃথীবিতে ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে ভারত।