বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ফজলুল করিম সবুজ নওগাঁ:
নওগাঁ জেলার মান্দা থানাধীন ভালাইন ইউপির লক্ষ্মীরামপুর গ্রামে জনৈক গোবিন্দ চন্দ্র সাহার বাড়ির সামনে ঝোপঝাড়ের মধ্যে গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান ০৬.১৫ ঘটিকায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৬ বছরের কন্যা শিশুর রক্তাক্ত বিবস্ত্র লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজন রাত ০৮.০০ ঘটিকায় মান্দা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মতিয়ার রহমানের নেতৃতে থানা পুলিশের একটি টিম সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে নওগাঁ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল মান্নান মিয়া, বিপিএম মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ গাজিউর রহমান, পিপিএম এর নেতৃত্বে নওগাঁ জেলা পুলিশের একটি চৌকশ টিম ঘটনাস্থলে যায়। নওগাঁ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় জেলা পুলিশের ২টি টিম ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির ভবঘুরে বখাটে কিশোর অপরাধীকে পুলিশের সন্দেহ হলে, পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অত্যন্ত সু-চতুর কিশোর বিভিন্ন কৌশলে বিষয়টি এঁড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সে নওগাঁর চৌকস দলের কৌশলের নিকট হার মানে এবং শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোর অপরাধী পুলিশকে জানায় যে, সে গতকাল দুপুর অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় তার বাড়ির পাশে জনৈক গোবিন্দ চন্দ্র শাহার বাঁশঝাড়ে বাঁশের কঞ্চি কাটার সময় ঐ শিশুসহ কয়েজন শিশু পাশেই খেলাধূলা করছিল। খেলাধূলা করে অন্যান্য শিশুরা চলে গেলে বখাটে কিশোর কৌশলে ঐ শিশুকে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোর অপরাধী শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণ করে। শিশুটির গোপনাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রক্তক্ষরণ হলে সে কান্নাকাটি শুরু করে এবং বিষয়টি তার বাবা-মাকে বলে দিতে চায়। ঘাতক কিশোর অপরাধী শিশুটির প্যান্টের কিছু অংশ ছিড়ে তার মুখে পুরে দেয় এবং একপর্যায়ে গলা চেপে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতক জুয়েল তার প্যান্টের ছেড়া অংশ ঘটনাস্থলের পাশেই আত্রাই নদীর তীরে ধানক্ষেতের মধ্যে ফেলে দেয়। রাতেই পুলিশ উপস্থিত কয়েকশত গ্রামবাসির সামনে অপরাধীকে সাথে নিয়ে তার দেখান মতে শিশুটির প্যান্টের ছেড়া অংশ আত্রাই নদীর তীরে ধানক্ষেত হতে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য বখাটে কিশোর অপরাধীকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয়।