শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এস.এম অলিউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের কনিকাড়া সরকার বাড়ির তিন সন্তানের জননী পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের সাথে উধাও হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কনিকাড়া সরকার বাড়ির সহিদ সরকারের ছোট মেয়ে মনিরা আক্তার বন্যার সহিত প্বার্শবর্তী সোহাতা গ্রামের নূর মোহাম্মদ মিয়ার দুবাই প্রবাসী ছেলে মনির হোসেনের সাথে বিগত ২২/০১/২০১৪ সালে ইসলামি শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহিত দম্পতির তাবাসসুম নামক ৫ বছরের কন্যা সন্তান এবং তাসকিন ও তাসফিয়া নামক সাড়ে ৩ বছরের জমজ পুত্র সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে স্বামী মনির হোসেন দুবাই প্রবাসে চলে গিয়ে স্ত্রী সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উপজেলা সদরের কলেজ পাড়ায় জায়গা ক্রয় করে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে মনিরা আক্তার বন্যা তার পিত্রালয় কনিকাড়া অবস্থান করিয়া পাশের বাড়ির মালদ্বীপ ফেরত মনুল হকের ছেলে আশানূরের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়ার জেরে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠলে শুক্রবার ২৮/০৫/২০২১ ইং তারিখ রাত ১১ ঘটিকায় তারা আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েন। এবিষয়ে ৩০/০৫/২০২১ ইং তারিখে বিচার শালিস হবে মর্মে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় আশানূরকে ছেড়ে দেয়া হয়।কিন্তু বিচারকার্য হওয়ার আগের দিন তারা রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে পালিয়া যায়। পরিবারের লোকজন অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নবীনগর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করতে চাইলে ঘটনার বর্ণনা শুনে থানা প্রশাসন সঠিক পরামর্শ দিয়ে প্রকৃত অপরাধের ধারা অনুযায়ী মামলার করার কথা বলেন।এতে পালিয়ে যাওয়া মেয়ের পিতা সহিদ সরকার রাজী না হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাম উল্লেখপূর্বক ৪ জন সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। পালিয়ে যাওয়া মনিরা আক্তার বন্যার প্রবাসী স্বামী মনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন,আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি এমন ঘটনা ঘটবে,আমার স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস রেখে আমি বিদেশের সকল রোজগারের টাকা তাকে দিলাম।এমনকি পারিবারিক ভ্রমণ ভিসায় তাকে গত কয়দিন আগে দুবাইও নিয়ে এসেছিলাম। তাকে ফিরে পেতে সরকারের নিকট আবেদন জানায়।আশানূর আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে আমার দেয়া দোকান বাকীর টাকা ও স্বণালংকার নিয়ে পালিয়েছে,এবিষয়ে আমিও আইনের সহায়তা নেব।এরইমধ্যে আমার শশুর বাদী হয়ে একটি সি আর মামলা দায়ের করেছে। আদালতে দায়ের করা সি আর মামলার বাদী সহিদ সরকার, বলেন,আশানূর আমার ঘরে ঢুকলে, আমরা চুর বলে চিৎকার করি, এরইমধ্যে সে বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে চিনতে পারেন। আমি এই ঘটনায় সমাজের লোকজনের নিকট বিচার প্রার্থনা করি কিন্তু সমাজের লোকজন বিচার করার কথা বলে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন। এরই সুযোগে সে আমার মেয়ে সহ রাতের আঁধারে টাকা পয়সা স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আদালতে আশানূর,মনিরা আক্তার বন্যা,রহিম মিয়া,জিলানী সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছি। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে দেয়ার অনুরোধ জানায়।