বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

News Headline :
ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪ উদযাপনের আজদ্বিতীয় দিন ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লালন মেলা হতে চুরি হওয়া ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ন্যায় বিচার পেলে আওয়ামী লীগের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে-নওগাঁ জামায়াত আমির রাবি’তে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসীদের গুলি ল্যাংড়া বিপু গুলিবিদ্ধ পাবনায় স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল সমর্থক হামলা-পাল্টা হামলা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

অবাধে পাখি নিধন হুমকির মুখে জীববৈচিত্র

Reading Time: 2 minutes

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর:
শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা যখন ভেসে বেড়ায় আর খাল বিল জলাভূমিতে পানি কমতে শুরু করে তখনি খাদ্যের সন্ধানে দলে দলে আসতে থাকে দেশী প্রজাতির পাখি। মাছ, শামুক, পোকা-মাকড়, জলজ উদ্ভিদ ও গুল্ম এসবই পাখির প্রধান খাবার।শেরপুরের নকলা উপজেলা নদী, খাল, বিল সহ সবচাইতে বেশী জলাভূমি সমৃদ্ধ অঞ্চল বিধায় শরতের শুরুতেই এখানে দেশী ও কিছু সংখ্যক পরিযায়ী প্রজাতির পাখির আগমন ঘটে বেশী। এরই সুযোগে পাখি শিকারিরা তৎপর হয়ে উঠে। নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের সিংগা বিল, সুতিবিল, মাজাকান্দা বিল ও চিকনা বিল, গৌরদ্বার ইউনিয়নের তেঘড়িয়া বিল, পৌর এলাকার কুরশা বিল এবং পাঠাকাটা ইউনিয়নের বড়োডুবি বিল এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এসব বিলে দেশী
প্রজাতির নানা ধরনের বক, পানকৌড়ি, কালিম ও ঘুঘু সহ অসংখ্য পাখি ঝাক বেধেঁ খাদ্যের সন্ধানে চড়ে বেড়াচ্ছে।কিন্ত এরই মধ্যে এক শ্রেণীর পাখি শিকারির দল পাখি ধরার কাজে নেমে পড়েছে।এরা বনে বাদারে জলাভূমিতে ফাঁদ পেতে তাদের পোষা পাখিদের দিয়ে ডেকে বুনো পাখিদের ফাঁদে ফেলে ধরে। পরে এসব পাখি গ্রাম গঞ্জের হাট- বাজারে বিক্রি করে। তবে আশার কথা জেলার জীব বৈচিত্র রক্ষাকারী সংগঠণ শেরপুর বার্ড কনজাভেশন সোসাইটি, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, জন উদ্যোগ, সবুজ বাংলা প্রভৃতি
স্বেচ্ছাসেবী সমিতি বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ জলাভূমি ও চরাঞ্চলে ঘুরে পশুপাখি ধরা ও নিধন বন্ধ সেই সঙ্গে বন ভূমি বক্ষায় জনমত সৃষ্টির জন্য নিরন্তর কাজ করে যচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে নকলা উপজেলার বার্ড কনজারভেশন সোসাইটির সদস্য গোলাম জাকারিয়া পবন জানান, সংগঠণের সদস্য হিসাবে তিনি ইতোমধ্যে জনমত
সৃষ্টি করে ও আইনের ভয় দেখিয়ে পাখি শিকারীদের হাত থেকে ৬০/৭০টি বক, ৮ /৯ টি পান কৌড়ি, ১৮ টি ঘুঘু, ২াট কালিম, ১টি ডাহুক উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিতে পেরেছেন। তবে তার দুঃখ বানেশ্বরদী ইউনিয়নের আলিনা পাড়া গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে চরম বিরোধিতা করে আসছে। তারাই সেখানকার মরাকান্দা বিলে অবাধে বক সহ নানাপ্রজাতির পাখি শিকার করে থাকে।এ প্রসঙ্গে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অচিরেই মোবাইল কোর্ট মাধ্যমে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।অপর দিকে এ বিষয়ে বন্য প্রানী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মন্জুরুল ইসলাম জানায়, এ বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। ইতিপূর্বে পাখি শিকারীদের ধরে তাদের কাছ থেকে পাখি অবমুক্ত আমরা করেছি। তবে এ পাখি শিকার রোধ করতে মোবাইল কোর্টের চিন্তা ভাবনা আমাদেরও রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com