শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ :
ধর্ম যার যার উৎসব যেন সবার”এ নিরিখে বছর ঘুরে আবার আবহমান বাংলার, বাঙালি সনাতনধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আর কিছু দিন গেলে শুরু হতে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে সনাতনপল্লীতে শুরু হয়েছে দুর্গাৎসবের ঘনঘটা। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র চলছে সাজ সাজ রব।পূজা অর্চনায় মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর ধুৃম পড়েছে।রাতদিন প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। কার থেকে কে বেশি আকর্ষণীয় রূপে তৈরি করবে তা নিয়েও প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন অনেকে। চলতি বছর নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে ১৪৮টি মন্দিরে চলছে আয়োজকদের জোড় প্রস্তুতি। সনাতন পঞ্জিকানুযায়ী আগামী ৬অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।১১ই অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ১৫ ই অক্টোবর মহা দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গৎসবের ইতি ঘটবে। আর দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্ণ শিখরে কৈলাসে স্বামী গৃহে ফিরে যাবেন। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের শ্রদ্ধাও আনন্দমাখা জল। রেখে যাবেন আগামী বছরের ফিরে আসার অঙ্গীকার। উপজেলার কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, শিল্পীর আল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দিন রাত চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।এরপর শুরু হবে রং তুলির আচঁরের কাজ।পুটিমারী শ্মশান বাজারের প্রতিমার মৃৎশিল্পী শ্রী নিতাই চন্দ্র জানান,এবার ৫টি প্রতিমা তৈরীর কাজ পেয়েছেন,প্রতিমা আকার অনুযায়ী ৩০,৪০,৮০ হাজার টাকা মজুরী পাবেন। তবে এ উপজেলার সর্ববৃহৎ শ্মশান বাজারের প্রতিমা তৈরিতে ৮০ হাজার টাকা মজুরী ঠিক হয়েছে। তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।নিতাই চন্দ্রসহ অনেকে মৃৎশিল্পী জানান,সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন আমাদের তৈরি করা প্রতিমাকে সবাই পূজা করে, তখন আমাদের সার্থক মনে হয়।উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফনিভূষণ মজুমদার জানান,স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার যাবতীয় অর্চনা পালিত হবে।আর পূজা উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসন,আনছারসহ আয়োজক কমিটির স্বেচ্ছাসেবকগণ কাজ করবে।