সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ নীলফামারী:
করোনার তেতো নীল বিষে বিপন্ন হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। কিন্তু এ তেতো নীল বিষেও কৃষি অর্থনীতি কৃষকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।ভুট্টা আর বোরো ধানে কৃষকরা দেখছেন রঙিন স্বপ্ন। বাম্পার ফলন,ন্যায্য বাজার মূল্য পেয়ে জ্যৈষ্ঠের তীব্র তাপদাহে ঘামঝড়া কৃযক পরিবারের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। চলতি বছর বিশেষ করে নীলফামারী কিশোরগঞ্জে মাঠের পর মাঠ রেকড পরিমান জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। আর মাঠের ভুট্টা মাঠে বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন সারে ৫ শত টাকা দরে। আর মাঠের ভুট্টা মাঠে বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে যন্ত্রের মাধ্যমে ভুট্টা মাড়াই। স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে শ্রমিক ছাড়াই মাড়াই যন্ত্র দিয়ে কৃষক ভুট্টা মাড়াই করতে পারছেন। ভুট্টার সন্তোষজনক ফলন হলেও মাড়াই যন্ত্র না থাকায় ভুট্টার মাড়াই বিড়ম্বনায় পড়েন সেই সময়ের কৃষকগণ। এতে কৃষকের অতিরিক্ত শ্রম ও অর্থ ব্যয় হতো। ধীরে ধীরে ভাঙার কারণে ভুট্টার গুণগত মান নষ্ট হতো।এ সুযোগে মধ্যস্বত্বভোগীরা ফায়দা লুঠত। ফলে লোকসানে পড়তেন কৃষকরা। এখন ভুট্টা মাড়াই যন্ত্রের সাহায্যে ভাঙানোর কারণে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি চাষের প্রতি আরও ঝুঁকছেন।বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র তৈরি করে কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে। এই মেশিনটি ভুট্টাচাষিদের জন্য এখন আশীর্বাদ।উপজেলার বাহাগিলী ইউপি’র উঃদুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের বর্গাচাষী তাজেদুল জানান, ইতিপূর্বে ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র না থাকায় বর্গা জমি নিয়ে চাষাবাদ করে তেমন লাভ হতো না। বর্তমানে ভুট্টার বাম্পার ফলন,ন্যায্য বাজার মূল্য আর সাশ্রয়ী মূল্যে যন্ত্রের মাধ্যমে ভুট্টা মাড়াই করে ভালোই লাভবান হচ্ছি। কিশোরগঞ্জ সদর যদুমনি গ্রামের ভুট্টা চাষি রশিদুল জানান,৩০শতাংশ জমিতে ফলন হচ্ছে ৩৫/৪০ মন। যান্ত্রিকতায় ভুট্টা মাড়াই করে মাঠে বিক্রি হচ্ছে৫৩০/৫৫০টাকা মন দরে। শ্রমিক সাশ্রয়ী ভুট্টা আবাদ করে দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে।এবং বিক্রিবাট্টাও কোন ভোগান্তি নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান,এ বছর ৩ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা, বাম্পার ফলন, ন্যায্য বাজার মূল্য, যন্ত্রের মাধ্যমে ভুট্টা মাড়াই করে এই করোনাকালীন সময় কৃষকরা ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে’।