সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ নীলফামারী:
নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা, বোরোর ভালো দাম পাওয়ায় একখণ্ড জমি অনাবাদি না রেখে পানি সাশ্রয়ী বৃষ্টি নির্ভর আউশ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। করোনার এমন দুর্যোগ মুহূর্তে কৃষি অর্থনীতি সচল রাখতে কৃষকরা মানুষরুপি রোবট হয়ে বোরো ধান গোলায় তুলতে না তুলতে, ভুট্টা কাটা মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে গেল ২০ দিন আগে রোপন কৃত আউশ ধান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় , এবার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।পানি সেচ দেয়ার তেমন একটা দরকার হয় না বলে আউশ আবাদে উৎপাদন খরচ কম। সেইসাথে কীটনাশক ও সার প্রয়োগ অন্যান্য ধান থেকে ৪০ থেকে ৫০ভাগ কম হওয়ায় আউশ উৎপাদনে কৃষকের উৎসাহ-উদ্দীপনা আরো বেড়ে গেছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র-প্রান্তিক, বর্গাচাষীগণ জমি প্রস্তুত, বীজ তলা থেকে চারা উত্তোলন, রোপণ, পরিচর্যায় মেতে উঠেছেন।পুটিমারী ইউপি’র চণ্ডীর বাজার গ্রামের কৃষক আতাউল্লাহ মুন্সি, উঃ দুড়াকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের বর্গাচাষী জাহেদুল জেনারুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান,ইরি-বোরো ধানের ভাল দাম পেয়ে আউশেও ভাল ফলন, ন্যায্য বাজার মূল্য পাওয়ার স্বপ্নে অধিক জমিতে আউশ ধান রোপন করে দিনরাত নিরলসভাবে ঘামঝড়া পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারা আরও জানান,খরচ সাশ্রয়ী আউশ ধান এখন মঙ্গা তাড়ানিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করায় কৃষকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। এক ফসলের জমির সার প্রয়োগে আলু, ভুট্টা, আউশসহ তিন ফসল উৎপাদন হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ব্লক পর্যায়ে কর্মকর্তাগণ নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে আউশ আবাদে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি রোগ বালাই, চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, খাদ্য ঘাটতি মেটাতে কৃষকরা দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাম্পার ফলনে ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হবেন।