রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ শহিদুল ইসলাম, খুলনা :
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে আঠারো মাইলে রাতের আঁধারে এক ব্যক্তির মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগের (গ্যাস ট্যাবলেট) অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনষ্ট হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১শ’ মণ মাছ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ডুমুরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত ঈমান আলী সরদারের পুত্র মোঃ মইনুর সরদার (৪০)এর প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছর জনৈক আজিজ মোড়লসহ এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অত্র থানাধীন কাঞ্চনপুর বিলে ২০ একর জমি ইজারা নিয়ে মাছের ঘের তৈরি করে শান্তিপূর্ণভাবে রুই, কাতলা ও মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ চাষাবাদ করে আসছেন।
বাদীর বড় পুত্র মুন্না সরদার(১৬) ঘেরটি দেখাশুনা করে এবং পাহারা দেয়। সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৫ মে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ঘেরের বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ১৬ মে তারিখ রাত ১টা ৩০মিনিটে ঘেরের ক্যানেলের মধ্যে মাছের লাফালাফির শব্দ শুনে মুন্নার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে ঘেরের বাসার বাইরে গিয়ে ক্যানেলে টর্চ লাইট মেরে দেখতে পান রুই, কাতলা ও মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ছটফট করে মারা যাচ্ছে। তখন মুন্না ঘেরের পানি নাকের কাছে নিয়ে বিষের গন্ধ পান। এ ঘটনায় কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত কওসার আলী সরদারের পুত্র আরিজুল সরদার (৪৬), মোঃ হালিম শেখের পুত্র মোঃ তালিম শেখ (২৭), আরশাফ আলী সরদারের পুত্র মোঃ মহসিন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদের মোড়লের পুত্র আলিমুল মোড়ল (২৮)কে আসামী করে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাদী মইনুর রহমান বলেন, তার পুত্র মুন্না বিবাদীদের গত ১৫ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ঘেরের বেঁড়িতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেছে। এজন্যই তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। ১নং বিবাদী মোঃ আরিজুল সরদার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, মামলা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।