বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা :
২৭ জানুয়ারী শনিবার, মুখ্যমন্ত্রী জল ধরো জল ভরো, প্রকল্পের কথা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, অবৈধভাবে চলছে বিভিন্ন জায়গায় পুকুর ভরাট। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ২২ কাঠা জমির মধ্যে একটি সাড়ে পাঁচ কাঠার পুকুর ছিল, সেই পুকুরটি অবৈধ নির্মাণকারী সংস্থা ভরাটের উদ্যোগ নেয়, দু নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিউটি হালদার এবং তার স্বামী বিপ্লব হালদারকে বিষয়টি জানালেও কোনরকম ব্যবস্থা নেননি, এলাকাবাসী একটি মার্চ পিটিশন করে এবং সেই মার্চ পিটিশন জমা করা হয় পৌরসভায়, পৌরসভা থেকে সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠানো হয়। এবং এই খবর যায় এলাকার বিধায়ক বার্ত্য বসুর কাছে এবং পুরসভার চেয়ারম্যান কস্তুরী চৌধুরীর কাছে, সঙ্গে সঙ্গে তাহারা ব্যবস্থা নেন, শুক্রবার সকালে ওই ২২ কাঠার জমির মধ্যে যে পুকুর ভরাট হচ্ছিল, সেখানে জেসিবি পাঠিয়ে পুকুরের মাটি সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। মহিলা প্রেসিডেন্ট রানু দত্ত এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং নিজে ঘটনাস্থলে আসেন, পুকুর থেকে মাটি উঠানো হয়, পৌরসভার পক্ষ থেকে গতকাল একটি অর্ডার দেওয়া হয়, যাতে পুকুরকে পুকুরের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কাউন্সিলার বিউটি হালদার এবং তার স্বামী বিপ্লব হালদার ,কাউন্সিলারের স্বামী বিপ্লব হালদার জানান, এই বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না, কিন্তু প্রশ্ন উঠে আসছে এলাকাবাসীদের কাছে,এত বড় ঘটনা ঘটছে অথচ কেউ জানেন না এটা কি করে হতে পারে এবং পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীরা সাংবাদিকদের সম্মুখীন হলে, তারা বলেন আমরা যে কোনোই পার্টি করি না কেন, কিন্তু পুকুর যে বেআইনিভাবে ভরাট হচ্ছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারব না, কারণ এখন যেভাবে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি হয়ে যাচ্ছে, তাতে জলের অভাব দেখা দিচ্ছে, কোন কিছু ঘটে গেলে জল পাওয়া যায় না,আর এইভাবে যদি পুকুর ভরাট করে এবং এলাকায় যদি কিছু ঘটে যায়, জলের অভাবে বাঁচানো না যায়, তাই আমরা এর বিরধিতা করছি এবং আমরা পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে লড়বো, এইভাবে এলাকায় এলাকায় পুকুর ভরাট হতে দেব না।
তাহার সাথে সাথে পৌরসভাকে এবং বিধায়ক বার্ত্য বসুকে ধন্যবাদ জানান, বিষয়টি জানার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এবং পুকুর ভরাট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, ধন্যবাদ জানান পৌরসভার চেয়ার পারসনকে।