রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা,কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়া শহরের সব থেকে সন্নিকটে কুমারখালী উপজেলার ছেঁউরিয়ায় অবস্থিত বায়ুল সম্রাট মরমী সাধক ফকির লালন সাহের মাঝার। মাঝার সংগ্ন খোলা মেলা পরিবেশে পরিবার নিয়ে বিনোদনের জন্য প্রায় সবাই গিয়ে থাকে নদীর পাড় ঘেষে লালনের মাঠ নামকে এই সুপরিচিত স্থানটি। মাঠের মধ্যে লেবু চা যেমন সকলকে মুদ্ধ করে তেমন মহিলাদের জন্য ফুচবা ও চটপটির দোকান।শিশুদের জন্য রয়েছে উন্মুক্ত পরিবেশ। ছুটির দিনে কিনবা অফিস ছুটির পর নিজ নিজ পরিবারকে নিয়ে সরাসরি মাঠেই প্রবেশ করতেন সবাই। কিন্তু হটাৎ করে ঢুকতে গেলে কাছে থাকা বাহনের জন্য দিতে হবে টাকা। প্রবেশ করলেই দিতে হবে টাকা তা না হলে স্ট্যান্ডে রাখতে হবে গাড়ি। বড় গাড়ির জন্য ইজারা নেয়ার কথা থাকলেও নতুন করে সাইকেল কিনবা মোটর সাইকেল নিয়ে গেলেই তাদের যে কোন অপরাধে টাকা দিতে হতে হচ্ছে। লালন মাঝারে গাড়ি নিয়ে যাওয়াটাই অপরাধ।এদিকে লালন একাডেমি বলছে আমরা নতুন করে কোন ইজারা দেইনি। বিষয়টি জানতে চাইলেই হতে হচ্ছে লাঞ্চিতর শিকার। এমনকি একজন মিডিয়া কর্মী তার সাথেও এমন
অসদাচরণ ভাবিয়ে তুলছে প্রায় প্রতিদিন ঘুড়তে যাওয়া মানুষগুলোর। যেন হটাৎ
করেই একটি রথবদল। এতদিনের এই চিরচেনা মাঠে এখন প্রবেশ করতে গেলে দিতে হবে গাড়ির টোল ফি। এমনকি টাকা দেওয়ার প্রমান দর্শনার্থীদের কাছ থেকে মুছে
ফেলার মত ঘটনাও ঘটেছে বলেও জানা গিয়েছে। জানতে চাইলেই তারা বলেন আমরা তাইজাল খানের লোক, ডিসির কাছ থেকে আমরা ইজারা নিয়েছি। আর এলাকাবাসীরা বলছেন টোল আদায়কারী কতৃপক্ষ রীতিমতো জোর পূর্বক জনসাধারণের নিকট হতে এই অর্থ আদায় করছে।তেমনি একজন ভূক্তভোগী নাম মো: মুন্জুরুল ইসলাম তিনি বলেন,আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে জানায় গত ০৩/০৮/২০২৩ ইং তারিখে ইজারা নেয়া হয়েছে। বিগত বছরগুলোতেও এভাবেই ইজারা নেয়া হয়ে থাকে।মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে রাখলে তার জন্য স্ট্যান্ডের রশিদের মাধ্যমে ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু ০৪/০৮/২০২৩ ইং তারিখে বিকাল সাড়ে চার ঘটিকার সময় মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে না রেখে রাস্তা দিয়ে নদীর ধারে যাওয়ার সময়ও জনসাধারণকে ট্রোল ফি দিতে হচ্ছে। আরেক জন আরিফ বিল্লাহ নামক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, বিষয়টির সাথে আমরা মোটেও অভ্যস্থ নই, আমাদের লালন মাঠে বা নদীর ধারে প্রবেশ করতে গেছে কেন দিতে হবে টোল ফি? ইহা একটি অমানবিক বিষয়।এই বিষয়ে কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি তাইজান খানের পুত্র রনি খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, টাকা তোলা হয় এই বিষয়ে আমি অবগত ওটা ইজারা নেয়া হয়েছে, আমার লোক ওখানে থাকেন। তবে জুলুম করে নয়।এই বিষয়ে কুষ্টিয়া নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক এহেশান রেজা তার সাথে কথা
বললে তিনি জানান, ওখানে আগের থেকেই ইজারা দেয়া হয়েছে তবে কোন নিয়মে তারা টাকা তুলছে এই বিষয়টি দেখতে হবে। তবে অসৎ আচারণ বা লাঞ্চিতর ঘটনা
অত্যান্ত দু:খ জনক। বিষয়টি ঘতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সচেলত মহল মনে করছে এতে সরকারী ও প্রশাসনিক ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।বিষয়টি প্রশাসনকে জনসাধারণের জন্য বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে মনে করছে সবাই।