শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কীটনাশক খেয়ে সেলিনা আক্তার সুমি (২০) নামে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চকদিগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমি ওই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রী। এদিকে পরিবারের দাবি, নিহতের দুলাভাই কেবল অপারেটর ব্যবসায়ী ফজলুল হকের পরকীয়া প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমি। শনিবার পাবনা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে নিহত সুমির বড় বোন জোসনা খাতুনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ফজলুল হকের বিয়ে হয়। দীর্ঘদিনের সংসার জীবনের একপর্যায়ে ফজলুল হক তার স্ত্রীর ছোট বোন সুমির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ নিয়ে ফজলুল হক ও জোসনা খাতুনের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটলে দু’বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। পরে কোনো প্রকার লিখিত ছাড়াই গোপনে মৌখিকভাবে শ্যালিকা সুমিকে বিয়ে করেন ফজলুল হক। বিয়ের পর থেকে সুমি বাবার বাড়িতে থাকতেন। তবে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হওয়ায় ৩ মাস আগে সুমি অন্তঃসত্ত্বা হয়। এরপর থেকে সুমি দুলাভাইকে চাপ দিতে থাকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে। কিন্তু ফজলুল হক বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে সুমি। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন বলেন, কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। খানমরিচ ইউনিয়নের বিট পুলিশিং কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রমজান আলী বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।