বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম মনিরুজ্জামান, পাবনা:
শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় এক জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষকের ৭ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ১৪ নভেম্বর (রবিবার) বেলা ১২ টার দিকে ভিকটিক শিশুটির নানা কৃষক মোতাহার প্রামানিক নিজে বাদী হয়ে সুজানগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষক ভ্যান চালক মজিদ শেখ (৪২)কে স্থানীয়রা সকাল ৯টার দিকে কামালপুর বাজার এলাকা থেকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। ধর্ষক মজিদ একই এলাকার মৃত ছকির শেখের ছেলে। ঘটনার বিষয়ে শিশুটির নানা মোতাহার প্রামানিক বলেন, এই ঘটনাটি ৪/৫দিন আগে গত ৯ তারিখে হয়েছে। এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলার জন্য আমরা কোন কিছু করতে পারি নাই। বিষয়টি এলাকার অনেকেই জানেন। ঘটনার পরে ধর্ষক আত্মগোপনে ছিলো। ১৪ নভেম্বর (রবিবার) সকালে তাকে পাশবর্তী এলাকায় ভ্যান চালানো অবস্থায় আটক করি আমরা। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানাতে নিয়ে আসে। পরে আমরা থানাতে গিয়ে ওই ধর্ষকের নামে মামলা দায়ের করেছি। ঘটনার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ওই দিনে আমি আমাদের এলাকার সোনাতলা বিলে মাছ ধরছিলাম। বাড়ির পাশ দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসছিলো ওই ধর্ষক। তার ভ্যানে উঠিয়ে দিয়েছিলো ওর নানী আমার কাছে আসার জন্য। সে আমার শিশু নাতনীকে বিলের মাঝে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি সে তার নানীকে বাড়িতে গিয়ে বলে দেয়। পরে ওর নানী আমাকে বলে। ওর বাবা বাহিরে থাকে মেয়ে ও নাতনী আমাদের কাছে থাকেন। কি করে এই কথা বলি বলেন সবাইকে। সমাজের এত অবক্ষয় হইছে শিশুরা নিস্তার পাচ্ছেনা। আমি ওই ধর্ষকের কঠিন শাস্তি চাই। এ ঘটনায় সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি বেশ কয়েকদিন আগে হলেও ১৪ নভেম্বর আমাদের কাছে ভিকটিমের নানা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত একই এলাকার মৃত ছকির শেখের ছেলে ভ্যান চালক আব্দুল মজিদ শেখ(৪২) কে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই দিনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর ভিকটিমকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পরিবার ও পুলিশের সাথে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এস আই বিল্লাল হোসেনকে। তিনি ঘটনার পুরো বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিবেন। প্রাথমিক ভাবে বলা যায় ওই শিশুটির সাথে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনার প্রতিবেদন আদালতে পেশ করা হবে।