রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

‘প্রবীণ’দের জায়গা নিতে ৬০০ তরুণের আবেদন

Reading Time: 3 minutes

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব কটি কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এ অবস্থায় প্রায় ২০ বছর পর নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে ১৯ জুন। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ‘প্রবীণ কমিটি’ বিলুপ্ত হওয়ার একটা সুযোগ এসেছে। প্রবীণদের সরিয়ে দায়িত্ব নিতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রে আবেদন জমা পড়েছে ছয় শতাধিক তরুণের। পদপ্রত্যাশীদের অনেকে ঢাকায় গিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতির এ সম্মেলনের প্রস্তুতিসহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখতে ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধিদল গত শুক্রবার চট্টগ্রাম এসেছে। কেন্দ্রীয় দুই সহসভাপতি ফারুক আমজাদ খান ও জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে আসা দলটি স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। দলের সদস্যরা সম্মেলনের কারিগরি বিষয়গুলোর খোঁজখবর নেন।

২০০১ সালে ২১ সদস্যবিশিষ্ট প্রথম আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল। এরপর আর পূর্ণাঙ্গ হয়নি। সেই কমিটির সদস্যরাই এত দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এবার ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। তবে কী প্রক্রিয়ায় কমিটি হবে, এখনো তা নিশ্চিত নয়। কমিটিতে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি ধারার প্রাধান্য থাকবে, সেটা অনুমিত। পাশাপাশি শীর্ষ পদের জন্য স্থানীয় কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে ধরে চেষ্টা–তদবির চলছে।

দুটি ধারার একটি পক্ষে আছেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা। অন্য পক্ষটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলয়ের। এই দুই পক্ষের মধ্য থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বেছে নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দুটি পদের জন্য উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের নাম স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯ জুন ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সম্মেলন হবে। কমিটি কীভাবে হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় যাচ্ছি। দীর্ঘদিন পর কমিটি হচ্ছে। তাই সবাই নিজের মতো করে চেষ্টা করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আমাদেরও বয়স হয়ে গেছে। দায়িত্ব তরুণদের হাতে তুলে দিতে চাই।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহও চট্টগ্রামের নেতাদের পরামর্শ নিয়ে নেতা নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘৬০০ আবেদন জমা পড়েছে। চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা কমিটির নেতা ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বসে ১০১ সদস্যের কমিটি নির্ধারণ করবে।’

করোনার কারণে কয়েক দফা পিছিয়ে ১৯ জুন সম্মেলনের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রের নেতারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেবেন। এর পরদিন কিংবা সম্মেলনের আগেও সাবজেক্ট কমিটি বসে কমিটি নির্ধারণ করতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। নগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটি মিলে এ সাবজেক্ট কমিটি হতে পারে।

আলোচনায় যাঁরা

শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রীপক্ষের লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ নাথ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আজিজুর রহমানের নাম আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিনের নামও প্রচারে রয়েছে। তাঁদের নামে সুপারিশও কেন্দ্রে গেছে।
আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সালাহউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, আইন কলেজছাত্র সংসদের সাবেক নেতা সুজিত দাশ ও আবদুর রশিদ লোকমানের নাম আলোচনায় রয়েছে। তাঁদের নামেও সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান আহ্বায়কের অনুসারী ও বঙ্গবন্ধু ল টেম্পল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. তসলিম উদ্দিনও চেষ্টা চালাচ্ছেন। সাংসদ আফছারুল আমীনের অনুসারী হিসেবে সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা মো. সাইফুদ্দিনও জোর তদবির চালাচ্ছেন। স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুকম্পা পেতে মরিয়া তাঁরা।

যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রাধান্য থাকবে
লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল দুদিন আগে ঢাকা থেকে ফিরেছেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দল করে আসছি। তাই এখন চেষ্টা করে দেখছি। নেতারা যদি যোগ্য মনে করেন, তাহলে নেতৃত্বে যেতে পারব।’

একইভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা মো. হেলাল উদ্দিনও। তিনি বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এ জন্য তিনি নেতৃত্বে আসতে চান।

নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কে বি এম শাহজাহান বলেন, নগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং কেন্দ্রীয় কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাঁরা এত দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ করেছেন, তাঁরা প্রাধান্য পাবেন। বিভক্তি বাদ দিয়ে সব পক্ষকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com