সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল গ্রেফতার ৩৪
নিজস্ব সংবাদদাতা:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় চার পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এছাড়াও মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৪ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে মিছিল শুরু করে মুক্তাঙ্গনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে করেছে বিক্ষোভ মিছিলটি পরিচালিত হয়। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে মতিঝিল বিভাগের পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক, মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি-পেট্রোল), মতিঝিল থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবল গুরুতরভাবে আহত হয়ে রাজারবাগ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ৩ পুলিশ সদস্য সামান্য আহত। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আহতরা হলেন খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), মতিঝিল জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবল। এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মিন্টু কুমার বলেন, বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে পুলিশ সদস্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন দাবি করে বলেন, সংগঠনের ১০/১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আরও পাঁচজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।এছাড়াও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৪ জনকে আটকের কথা স্বীকার করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে তিনি জানান। আটকদের নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী অনেকেই পালিয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ডিসি মতিঝিল সৈয়দ নুরুল ইসলাম।