বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান, ময়মনসিংহঃ
গতকাল দুপুরে ১২টার সময় ময়মনসিংহ শহরের হরিজন পল্লীতে সিলিন্ডার গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। বাবু হরিজনের বাসায় সিলিন্ডার গ্যাসের পাইপ লিকেজ হওয়ার পর এই দূর্ঘটনা ঘটে। গ্যাসের আগুন ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যুৎ লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যাপক
আকার ধারণ করে। স্থানীয়রা তখন বিদ্যুৎ আফিসে ফোন করার পর বিদ্যুৎ লাইন
বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে ময়মনসিংহ অফিসে ফোন দেওয়ার সাথে
সাথে দুইটি ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে ময়মনসিংহ সদর অফিসের মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সিনিয়র স্টেশন অফিসারের নেতৃত্বে দুইটি ইউনিট সেখানে
উপস্থিত হয়ে ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন। এখানে তিনটি বাড়ীতে
১১টি পরিবারের বসবাস। এই ১১টি পরিবারের বসবাসের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
রুমগুলো ও তাদের ফ্রিজ, আলমিরা, ড্রেসিং টেবিল, সুকেষ ও অন্যান্য
আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো আজ দিশেহারা। ১০ নং ওয়ার্ডের কমিশনার তাজুল ইসলাম ও ১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা
কমিশনার রোখসানা শিরিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও তাদের প্রতি
সমবেদনা জানান। পুলিশের লোকদের ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা যায়।
স্থানীয় লোকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বাবু হরিজন, সোহেল হরিজন, সুরুজ
বাসপোর, কানাই বাসপোর, বলাই বাসপোর, খোকন হরিজন, সরন হরিজন, দয়া সংকর
হরিজন, ভানু হরিজন, সীমা হরিজন ও লিটন হরিজনের পরিবাররের সদস্যরা এই
তিনটি বাড়ীতে বসবাস করেন। স্থানীয় লোকজন দমকল বাহিনীকে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ধন্যবাদ জানান। তারা জানান দমকল বাহিনী যদি সাথে সাথে না আসলে আরো
বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা রেখে তারা জানান তাদের
পল্লীতে সহজেই যেন একটি গাড়ী ভিতরে প্রবেশ করতে পারে ও অনায়াসে বের হতে
পারে সেজন্য কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টির বিশেষ প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো জানান, বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতিতে এই কঠিন মহামারীর দুঃসময়ে সরকারের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন যেন আমাদের অনুদান ও বিনা সুদে ঋন দান করে আমাদের পরিবার নিয়ে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক
অবস্থায় ফিরে যেতে সহায়তা করেন।