সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর:
নানা জল্পনা কল্পনা শেষে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলন।দীর্ঘ দিন পর সম্মেলন কে ঘিরে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে সম্মেলনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
তবে দুই পদে দেড় থেকে দুই ডজন করে প্রার্থী হওয়ায় কে আসছে মূল পদে তা নিয়ে চলছে আলোচনা -সমালোচনা। তবে তৃণমূল যুবলীগ নেতা কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যাশা যারা দীর্ঘ দিন থেকে ত্যাগ স্বীকার করে মুজিব আদর্শ ধারণ করে ছাত্র রাজনীতি করে এসেছে তাঁরাই যেন মূল্যায়িত হয়।
এরই মধ্যে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আলোচনায় নাম উঠে এসেছে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের।
কর্মী বান্ধব হওয়ায় দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের প্রিয়মূখ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম। এবারের সম্মেলনে তৃণমূলের রায়ে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাকে ঘিরেই এখন একাট্টা হচ্ছেন জেলার আট উপজেলার নেতাকর্মীরা। আসছে সম্মেলনে কর্মীবান্ধব এ নেতাকে সাধারণ সম্পাদক করার লক্ষ্যে জেলার নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সরব রয়েছে তাঁর প্রচারণায়।এ জেলার বেশির ভাগ নেতাকর্মীই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদায়নের জন্য মতামত ব্যক্ত করছেন।
রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত দিনে তার ত্যাগ রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে তিনি ছাত্রলীগের হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনাকালে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যুবনেতা রফিকুল ইসলাম। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়।সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পথচারীসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। বর্তমানে দলের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দলের কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা, আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। তাই আসন্ন রংপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলনে জেলা ও উপজেলার তৃনমুলের সকল নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকেই দেখতে চায়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, দলের দুঃসময়ের রাজপথের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলাম। বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতিতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে আছি। তিনি আরও বলেন, আমি চাই সম্মেলনের মাধ্যমে স্বচ্ছ এবং ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব বের হোক।কোনো বিতর্কিত নেতা যেন এখানে স্থান না পায়।আর আমি যেহেতু ছাত্রলীগের একটি ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছি সেই জায়গা থেকে আমার সব জায়গায় প্রায় নেতাকর্মীদের কাছে একটা গ্রহনযোগ্যতা আছে।তাই দল আমাকে বিমুখ করবেনা বলে আশাবাদী। এর আগে রফিকুল ইসলাম রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (২০১৩), জেলা ছাত্রলীগের সদস্য (২০১১), মর্ডান মোড় ছাত্রলীগের আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক (২০০৮) পদে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।