মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীর আড়ানী পৌর মেয়রের অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

Reading Time: 4 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী :
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আলোচিত সেই মেয়র মুক্তার আলীকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আরিফুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়ব আলী আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। কিন্তু আদালত চার দিনের জন্য মঞ্জুর করেন। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করায় মেয়র মুক্তার আলীকে জেল-হাজতে পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতেই আছেন। রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে এলাকায় এক প্রভাষকের বাড়িতে হামলা চালায়,মেয়র মুক্তারসহ তার লোকজন। এ সময় ওই প্রভাষক ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন মেয়র নিজে ও তাঁর সহযোগীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই রাতেই বাঘা থানা পুলিশের একটি দল আড়ানী পৌর মেয়রের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তার বাড়িতে কয়েক ঘন্টা ধরে তল্লাশি করে-৭.৬৫ অটোমেটিক ১ টি বিদেশি পিস্তল,৭.৬৫ পিস্তলের ৪টি মেগাজিন,৭.৬৫ পিস্তলের ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি,৭.৬৫ পিস্তলের ০৪ টি গুলির খোসা, ওয়ান শুটার ১ টি, দেশী তৈরী বন্দুক ১ টি,এয়ার রাইফেল ১টি, শট গানের ২৬ রাওন্ড গুলি,১০ গ্রাম গাঁজা,৭ পুরিয়া হেরোইন ২০ পিচ ইয়াবা,১৮ লক্ষ টাকার স্বাক্ষর করা চেক ও নগদ ৯৪ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়র মুক্তার আলী পালিয়ে যায়। তবে তার স্ত্রী জেসমিন আকতার(৪০) তার ২ ভাতিজা,নবাবের ছেলে হাসান (২৫) ও সামিরুলের ছেলে শান্ত(২৩) দ্বয়কে আটক করে পুলিশ। অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে বুধবার থানায় দুটি মামলা করা হয়। আসামি হন মেয়রও। এরপর শুক্রবার ভোররাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি তার এক নিকটাত্বীয়র বাড়ী থেকে মুক্তার আলী ও তাঁর শ্যালক রজব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তাকে নিয়ে আড়ানী পৌরসভার পিয়াদাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেখানে মেলে আরও এক লাখ ৩২ হাজার টাকা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও ধারালো চাকু। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা করে পুলিশ।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার ও শুক্রবার দায়ের হওয়া দুটি অস্ত্র মামলায় মেয়র মুক্তারের রিমান্ড চাওয়া হয়। একই সঙ্গে মুক্তার ও তাঁর শ্যালকের পক্ষে তাঁদের আইনজীবী জামিন আবেদন করে। সন্ধ্যায় শুনানির সময় বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে। এ সময় আদালত শুধু মেয়রের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এরপর তাঁকে পুলিশ হেফাজতেই নেওয়া হয়েছে। আর শ্যালক রজবকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ওসি আরও জানান, গত বুধবার মেয়রের স্ত্রী এবং দুই ভাতিজাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তবে তাঁদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদেরও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
মুক্তার আলী ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। পরে হন কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হন মেয়র। এ বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও পায়নি। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে ভোট করে জয়ী হন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ভোটের সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই পাঁচটি মামলা ছিল। গত বুধবার থেকে আরও পাঁচটি মামলা হওয়ায় এখন তিনি ১০ মামলার আসামি,
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আলোচিত সেই মেয়র মুক্তার আলীকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আরিফুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়ব আলী আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। কিন্তু আদালত চার দিনের জন্য মঞ্জুর করেন। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করায় মেয়র মুক্তার আলীকে জেল-হাজতে পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতেই আছেন। রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে এলাকায় এক প্রভাষকের বাড়িতে হামলা চালায়,মেয়র মুক্তারসহ তার লোকজন। এ সময় ওই প্রভাষক ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন মেয়র নিজে ও তাঁর সহযোগীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই রাতেই বাঘা থানা পুলিশের একটি দল আড়ানী পৌর মেয়রের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তার বাড়িতে কয়েক ঘন্টা ধরে তল্লাশি করে-৭.৬৫ অটোমেটিক ১ টি বিদেশি পিস্তল,৭.৬৫ পিস্তলের ৪টি মেগাজিন,৭.৬৫ পিস্তলের ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি,৭.৬৫ পিস্তলের ০৪ টি গুলির খোসা, ওয়ান শুটার ১ টি, দেশী তৈরী বন্দুক ১ টি,এয়ার রাইফেল ১টি, শট গানের ২৬ রাওন্ড গুলি,১০ গ্রাম গাঁজা,৭ পুরিয়া হেরোইন ২০ পিচ ইয়াবা,১৮ লক্ষ টাকার স্বাক্ষর করা চেক ও নগদ ৯৪ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়র মুক্তার আলী পালিয়ে যায়। তবে তার স্ত্রী জেসমিন আকতার(৪০) তার ২ ভাতিজা,নবাবের ছেলে হাসান (২৫) ও সামিরুলের ছেলে শান্ত(২৩) দ্বয়কে আটক করে পুলিশ। অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে বুধবার থানায় দুটি মামলা করা হয়। আসামি হন মেয়রও। এরপর শুক্রবার ভোররাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি তার এক নিকটাত্বীয়র বাড়ী থেকে মুক্তার আলী ও তাঁর শ্যালক রজব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তাকে নিয়ে আড়ানী পৌরসভার পিয়াদাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেখানে মেলে আরও এক লাখ ৩২ হাজার টাকা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও ধারালো চাকু। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা করে পুলিশ।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার ও শুক্রবার দায়ের হওয়া দুটি অস্ত্র মামলায় মেয়র মুক্তারের রিমান্ড চাওয়া হয়। একই সঙ্গে মুক্তার ও তাঁর শ্যালকের পক্ষে তাঁদের আইনজীবী জামিন আবেদন করে। সন্ধ্যায় শুনানির সময় বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে। এ সময় আদালত শুধু মেয়রের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এরপর তাঁকে পুলিশ হেফাজতেই নেওয়া হয়েছে। আর শ্যালক রজবকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ওসি আরও জানান, গত বুধবার মেয়রের স্ত্রী এবং দুই ভাতিজাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তবে তাঁদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদেরও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
মুক্তার আলী ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। পরে হন কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হন মেয়র। এ বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও পায়নি। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে ভোট করে জয়ী হন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ভোটের সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই পাঁচটি মামলা ছিল। গত বুধবার থেকে আরও পাঁচটি মামলা হওয়ায় এখন তিনি ১০ মামলার আসামি,

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com