শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ নীলফামারী
রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘন্টা বাজছে রাতে,রানার চলছে খবরের বোঝা হাতে,রানার চলছে রানার রাত্রির পথে পথে চলে কোন নিষেধ জানেনা মানার,দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছুটে রানার কাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার।কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা কবিতা খানি এতটাই চমৎকার বর্ণনাটাও এতটাই যে চোখ বুজলেই রানার কে দেখতে পাওয়া যাবে,এক হাতে খবরের বোঝা অন্য হাতে বল্লমযুক্ত লাঠি আর হারিকেনের সাদৃশ্য আলো চোখে মুখে ব্যস্ততার ছাপ।এ যেন ঠিক সময় পেঁীছানোর ব্যস্ততা।এক সময় ডাকবাক্স,ডাকঘর,ডাকপিয়ন বা ডাক-হরকরা এবং তাদের বিলি করা চিঠি ছিল মানুষের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।দিনের পর দিন মানুষ অপেক্ষা করে থেকেছে ডাক পিওনদের জন্য।আধুনিকতার আলোতে পুরাতনগুলো সব স্মৃতিতে ঠঁাই নিয়েছে।প্রেম-ভালোবাসা বিরহ কষ্ট সবকিছুই প্রকাশ পেত একটি মাত্র চিঠিতে। কিন্তু আজ আধুনিক যুগে প্রযুক্তির কাছে হার মেনে সব বইয়ের পাতায় থাকা অতীত আর স্মৃতির মণিকোঠায় ঠঁাই করে নিয়েছে।রাত জেগে সারারাত ছুটে সেই খবর সে মানুষের জন্য বহন করে আনত।সেই বহন করা হাতে লেখা চিঠির জায়গায় আজ মোবাইলেরমেসেজ,মেসেঞ্জার,ই-মেইল বা কুরিয়ার স্থান দখল করে নিয়েছে।তবে একটি চিঠিতে যে আবেগ জড়ানো থাকে আজকের আধুনিক সরঞ্জাম বহন করা ডিজিটালে সেই খবরে এত আবেগ জড়িয়ে থাকে না।একটি চিঠি লিখতে একজন প্রেমিক-প্রেমিকা,নববধূ কিংবা বাবা-মার যে শ্রম ব্যয় হত আজ তার কিছুই হয় না।যত্ন সহকারে চিঠি লেখা তারপর সেই চিঠি হলুদ রঙের খামে ভরে ডাকঘরে যাওয়া এবং তারপর সেই চিঠি ডাকবাক্সে ফেলা সব কিছুতেই যেন অসাধারণ চিত্র ছিল।অন্যদিকে ভালবাসার নির্লাভ রঙেয়ের আবেগ শ্রদ্ধা জানাতে ছিল নীল রঙেয়ের খাম।কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে রানার নামক সেই ব্যক্তি।সেই শব্দ আজ অনেকের কাছেই অপরিচিত।