শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

News Headline :
সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতার সকল কর্মকান্ড স্থগিত রংপুরে ৩ দিন ব্যাপী পিআইবি’র সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন নেসকোর দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার নিকট আবেদন গাইবান্ধায় ছোট ভাইয়ের লাথির আঘাতে বড় ভাইয়ের মুত্যু হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে না পারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না-তারেক রহমান ১৫ বছরের আমাদের ওপর যে জুলুম করা হয়েছে তা আর কারো ওপর করেনি-জামায়াতের আমির সিরাজগঞ্জে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে আঃলীগের চেয়ারম্যানকে চেয়ারে বসানোর ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি গঠন রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা সিরাজগঞ্জে ৫১৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক কারবারী আটক শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চালকের গলাকেটে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা গ্রেফতার ৪

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রায়ে ১৪ জনের ফাঁসি।

Reading Time: 3 minutes

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রায়ে ১৪ জনের ফাঁসি ।

ডেক্স নিউজ :

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিচারক বলেন, ‘দণ্ডবিধির ১২১/৩৪/১০৯ ধারায় অপরাধের জন্য আসামিদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো। একটি ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যে আসামিদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ হলো। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের কোনো অসুবিধার কারণ থাকলে প্রচলিত নিয়মানুসারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের প্রত্যেকরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হলো।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন মিয়া, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পরদিনই সেখানে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেন। ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডির এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে আদালত মোট ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান এই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, সারোয়ার হোসেন মোল্লা, আনিসুল ইসলাম,মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন।পলাতক রয়েছেন আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ, শেখ মো. এনামুল হক, মোছাহেব হাসান। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ আসামির সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামি ও ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেকরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হলো। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২১/৩৪/১০৯ ধারায় চরম দণ্ড প্রদান করায় দণ্ডবিধির ১২১ ক/২২২/১২৪ “ক” ধারা মতে কোনো দণ্ড প্রদান করা হলো না।’মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পরদিনই সেখানে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেন।
২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডির এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে আদালত মোট ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান এই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, সারোয়ার হোসেন মোল্লা, আনিসুল ইসলাম,মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন।পলাতক রয়েছেন আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ, শেখ মো. এনামুল হক, মোছাহেব হাসান। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ আসামির সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামি ও ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com