বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

News Headline :
হোসেনপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ ইট বৃষ্টির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে দৌড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও রণী খাতুন পাবনা ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় ৩ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা এবার রাজশাহীর বাগানগুলোতে ফুটছে আগাম আমের মুকুল সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের বাৎসরিক ফ্যামিলি ডে পালিত জব্দ ট্রাক ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী! ২০ হাজার টাকা দেওয়ায় হয়রানীর অভিযোগ গোদাগাড়ী থানার ওসি’র বিরুদ্ধে রাবি ক্যাম্পাসে মাথায় ব্যাডের আঘাতে রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীর মৃত্যু! ভোলাহাটে জরিমানা করা সত্বেও ফের মাটিকাটার কাজ অব্যাহত!! রাজশাহীর পবায় ট্রাক চাপায় যুবদলকর্মী নিহত বদলগাছীতে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

টুংটাং শব্দ নেই নীলফামারী কিশোরগঞ্জের কামারশালাতে

Reading Time: < 1 minute

মোঃ মিজানুর রহমান,কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী :
জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুযায়ী বুধবার ২১ জুলাই পালিত হবে কোরবানির ঈদ। আর এই পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে বছরের এই সময়টাতে ভালো আয় রোজগারের আশায় কামারশালায় ব্যস্ততার অন্ত থাকে না। কিন্তু চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস যেন তাদের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে।আগের মত ঈদকে ঘিরে কামারশালাগুলোতে নেই তেমন কোন ব্যস্ততা। অনেকে পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে অনেক আগেই,যেখানে এক সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতো তপ্ত লোহা পিটিয়ে ছোট-বড় দা, ছুরি,বটি,চাপাতি,কাটারী তৈরির কাজ। করোনাভাইরাস সংক্রমন এড়াতে লকডাউনের মধ্যে ক্রেতা পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কামাররা। গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামারশালা ঘুরে দেখা গেছে,আগের মত ব্যস্ততা নেই কামারদের,নেই তেমন হাতুড়ির টুংটাং শব্দ।কয়েকটি কামারশালা খোলা থাকলেও নেই তেমন কাজ। তবে পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে একমাস আগে থেকেই কামারশালায় হাতিয়ার বানানোর কাজ শুরু হতো।কামারশালায় পাশ দিয়ে গেলেই শোনা যেত হাতুড়ির জ্বালাময়ী টুংটাং শব্দ আর লোহা গরম করা ভাতির শব্দ ও আগুনের স্ফুলিঙ্গ। কিন্তু চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।এর প্রধান কারন করোনা সংকট।এ সময় উপজেলার কামারপাড়া গ্রামে কামারশালায় কথা হয় আরিফ রবিন কর্মকারের সাথে। তারা জানান,এবছর ব্যবসার মূল সময়টাতে লকডাউন। ঈদ আসলেই কাজের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যায়,ভালো আয় রোজগারও হয়।কিন্তু এবার সে পরিমান কাজ নেই।তারা আরও বলেন,ঈদের এক মাস আগে থেকেই দা,ছুরি,বটি,কাটারী,চাপাতিসহ নানা হাতিয়ার তৈরি করা শুরু হতো।সেই সাথে কামারশালার সামনে বিক্রি করার জন্য সাজানো থাকতো পশু কোরবানি করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আর বিক্রি শুরু হতো এক সপ্তাহ আগে থেকেই। কিন্তু এ বছর লোহার দামও বেশী তেমন ক্রেতাও নেই,তাই কাজও পাওয়া যাচ্ছে না। পুঁজি হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com