সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

পাবনার ঈশ্বরদীতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলোর বেহাল দশা-পর্ব-১

Reading Time: 2 minutes

বায়েজিদ বোস্তামী, পাবনা ঈশ্বরদী:
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো দিনের বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ করে রাখা হয়। যদি কখনও খোলাও থাকে তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকেন না। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অশোভনীয় আচরণের কারনে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে গ্রামীণ জনপদের সাধারণ রোগীদের ফিরে যেতে হয়। এসব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো সঠিক নিয়মে চলছে কিনা মানুষকে সেবা দেওয়া হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে চরম উদাসীনতা ও তদারকির অভাব রয়েছে। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া, ছলিমপুর, লক্ষ্ণীকুন্ডা এবং মুলাডুলি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টানা কয়েক মাসের অনুসন্ধোন শেষে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অনুসন্ধানের শুরুতেই দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দিকে নজর রাখা হয়। পর পর কয়েকদিন বেলা ১১-১২ টার মধ্য গিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয়দের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তারা অভিযোগ করেন, অধিকাংশ সময়ই এটি বন্ধ থাকে। বেলা ১২ টার মধ্যে বন্ধ করে চলে যান এখানে কর্মরতরা। সপ্তাহে দু-একদিন সেবা দেওয়ার নামে আধাবেলা খোলা রাখলেও সেখানে গিয়ে মেলেনা কোনো সেবা বরং অশালীন আচরণ করেন দায়িত্বরতরা। এছাড়া এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির আবাসিক ভবনে দীর্ঘদিন বসবাস করা হচ্ছে না। নিরাপত্তা প্রাচীর ও প্রহরী না থাকায় সেই আবাসিক ভবন বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় অসামাজিক কার্যকলাপ আর মাদক সেবনের সামগ্রী পড়ে রয়েছে। এসব বিষয়ে উপজেলা মেডিকেল অফিসার মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ডাঃ আব্দুল বাতেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তিনি এ বিষয়ে অনেকটাই স্বীকার করে জানান সেখানে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন। তবে আরও যারা দায়িত্বে আছেন তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালণ না করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচার হয়। টিভিতে প্রচারের পর সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। একারনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিয়মিত খুলতে শুরু করেন। এর কয়েকদিন পরই আবার দুপুর ২ টায় বন্ধ পাওয়া গেলে ডাঃ আব্দুল বাতেনের কাছে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছুটিতে রয়েছেন জানিয়ে বলেন, বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন ডাঃ উর্মি সাহা। আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ উর্মি সাহার ফোনে অনেকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। পরে বিষয়টি লিখে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো উত্তর আসেনি। এ বিষয়ে সরাসরি জানতে তার অফিসে গেলে তিনি বলেন, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আমার এখানে ঔষধ নিতে এসেছিলেন। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ঔষধ নিতে এসেছিল তবে অফিস সহায়ক কাম নিরাপত্তা প্রহরী কোথায় ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনিও সাথে এসেছিল। আসলেও এভাবে দুজনের একসাথে অফিস বন্ধ রেখে চলে আসা উচিৎ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরপর ছলিমপুর, লক্ষ্ণীকুন্ডা ও মুলাডুলি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে সরেজমিনে অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের অভিযোগ এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া দুই সপ্তাহের বেশি সময় ঘুরেও উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল বাতেনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে আরও অনুসন্ধান শেষে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বক্তব্যসহ আগামী পর্বে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com