রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা:
১৫ নভেম্বর বুধবার একদিকে যখন বাড়িতে বাড়িতে ভাতৃদ্বিতীয়া পালন হচ্ছে,বোনেরা ভাইদের কপালে ফোটা দিচ্ছে,অন্যদিকে ঠিক তার উল্টোটি দেখা গেল বাবুঘাটে। দুপুর থেকেই চলছে প্রতিমার নিরঞ্জনের পালা ,আর আজ নিরঞ্জনের শেষ দিন , তাই সমস্ত ক্লাবকেই প্রতিমা নিরঞ্জন করে ফেলতে হবে। তাই ক্লাবের কর্তৃপক্ষরা দুপুর থেকে একে একে প্রতিমা নিয়ে মাকে বিদায় জানাচ্ছেন বাবুঘাটে। প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া সতর্কবার্তা মাঝে মাঝে মাইকে ঘোষনা করছেন। যাতে কোনভাবে কোন শিশুদের নিয়ে জলে না নামেন এবং সবাই যেন শান্তি শৃঙ্খল ভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করে ফিরে যান। এর সাথে সাথেই ঘাটের কিছুটা দূরে ডুবুরিরা সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখছেন, যেই কেউ একটু বেশি জলে নামছে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বারণ করে দেয়া হচ্ছে এবং উঠে যেতে বলা হচ্ছে। এদিকে কেএম সি লোকেরাও সতর্ক নজর রাখছেন একসাথে প্রতিমা ফেলতে দিচ্ছেন না। একটি একটি করে প্রতিমা নিরঞ্জন পড়তে বলা হচ্ছে,, এবং সাথে সাথে সেগুলোকে ক্রেন এর মাধ্যমে তুলে ফেলা হচ্ছে,, জাতে গঙ্গার জল দূষণ না হয়, ঘাটের দু’ধারে জমায়েত রাখা কে এম সি গাড়ি এবং ক্রেন প্রতিমা গুলিকে তুলে নিয়ে অন্য একটি জায়গায় জমা করা হচ্ছে। প্রতিমার সাথে সাথে মহিলারা উল্লাসে প্রশাসনের মধ্য দিয়ে ঘাটে আসছেন কিন্তু পুলিশের সতর্ক বার্তা কাউকেই জলে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে সন্ধে পর্যন্ত দেখা গেল সেই ভাবে জোরদারনি দূর্গা পূজার মতো সবাইকে ঢুকতে দিচ্ছেন ঘাটে কিন্তু সতর্ক একটাই কেউ জলে নামতে পারবেন না এমনকি বাচ্চাদেরকে নিয়ে দূরে দাঁড়াবেন।বিকেল থেকে কিছু বউ ক্লাবের প্রতিমা প্রশাসন করে খাটে এসে ভিড় জমিয়েছেন। কিন্তু কোন ক্লাবের বাজনদারকেই ভেতরে ঘাটে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এমনই সব লক্ষ্য করা গেল।
বাঙ্গালীদের পুজো দুর্গো পুজোর পরে কালীপুজো,এরপর আরো একটি পুজো ধুমধাম এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে জগদ্ধাত্রী পুজো। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন। দুর্গা পুজো, কালীপুজো, ছট পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো সবার ভালো কাটুক।