রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শেখ ইমন, ঝিনাইদহ :
নাম তাদের রাজা-বাদশা। নাম শুনলে সবাই আগেকার যুগের রাজা বাদশার কথাই ভাববেন। কিন্তু না কোরবানি উপলক্ষে আদর করে লালন পালন করা বিশালাকার দুটি ষাড়ের নাম রাজা, বাদশা। ওজন আকৃতি ও সৌন্দার্যে তারা নজর কাড়ে সকলের। প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের দেখতে। দেশে এবার কুরবানির হাট মাতাবে তারা। তবে করোনা কালে ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাঁড়দুটির মালিক মোয়াজ্জেম মোল্লা। ঝিনাইদহের শৈলকুপার দুধসর ইউনিয়নের গাছ কুলচারা গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম মোল্ল্যা। গত ৫ বছর ধরে গরু পালেন তিনি। নিজের গোয়ালের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভীতে জন্ম নেয়া ষাড়ের বাচ্চা এখন দেশের সেরা বলেই ধারনা করছেন তিনি। গরুর মালিক মোয়াজ্জেম মোল্ল্যা বলেন, আমার কোন গরুর খামার নেই। আছে একটি গোয়াল ঘর। সেখানে মোট ৭ টি গরু আছে। ৫ বছর আগে প্রথমে ৭১ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী গরু কিনি। তারপর থেকে আমার রাজা, বাদশা এবং উজির হয়েছে। এছাড়াও বকনা বাছুর হয়েছে। রাজা, বাদশা আগে হওয়ায় এবারের কুরবানির ঈদে তাদেরকে ছেড়ে দেব। আর উজির আগামী বছর বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার গরু গুলোর সাধারণ খাবার যেমন চাল, ভুষি, ছোলা, খেসাড়ী এ ধরনের খাবার খাইয়েছি। তাছাড়া অত্যান্ত আদর যত্ন করে গরু পেলেছি। রাজার আনুমানিক ওজন ৪০ থেকে ৫০ মণ এবং বাদশার ৩৫ থেকে ৪০ মণের হবে। প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫ টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮ টি ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় গত বছর কোরবানি দেওয়া হয়েছে ১লাখ ১৯ হাজার ৪০২ টি।