বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
জুয়েল ইসলাম তারাগঞ্জ রংপুর:
রংপুরে তারাগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে করোনার টিকাদান কেন্দ্রে মিথ্যাচার করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বাবুল তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ আগস্ট পুরো উপজেলার ন্যায় হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নেও গণটিকা কার্যক্রম চলে। ওই কেন্দ্রে গণটিকা দানের একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একজন মহিলা টিকা গ্রহণের পর একটু অসুস্থ বোধ করলে সেখানকার কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামসুন্নাহার ও দায়িত্বরত স্বাস্থ্য পরির্দশক আব্দুস সালামকে অবহিত করেন। ওই নারীর সঙ্গে পরির্দশনের এসে কথা বলে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। রোগীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখাশোনা করতে বলেন। একপর্যায়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালাম অ্যাম্বুলেন্স ওই টিকা কেন্দ্রে ফোন করে আনেন। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেন যে একজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। ফলে টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিরা ভয়ে টিকা না নিয়ে টিকা কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে যান। টিকা কেন্দ্র লোক শূন্য ও টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার। তিনি স্বাস্থ্য পরিদর্শকে অ্যাম্বুলেন্স আনার ব্যাপারে জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় ওই কর্মকর্তা গালিগালাজ করেন। হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাবুল বলেন, ‘আব্দুস সালাম একজন স্বাস্থ্য বিভাগের লোক হয়ে টিকা দিয়ে মানুষ গুরুত্বর অসুস্থ হচ্ছে, টিকাদান কেন্দ্রে মিথ্যা খবর ছড়ান। ফলে আমার এলাকার লোকজন ভয়ে টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। আমি প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনদের ডেকে এনে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছি। প্রতিজনের কাছে জানতে চেয়েছি তাঁরা কেন টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে? অনেকেই ওই স্বাস্থ্য পরির্দশকের ছড়ানো গুজবের কথা বলেছেন। তিনি সরকারি কর্মচারী হয়েও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জন ও মাননীয় সংসদকে লিখিত অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে কথা হলে আব্দুস সালাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার সম্মান নষ্ট ও আমাকে হয়রানি করার জন্য এসব করা হচ্ছে। এ ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামসুন্নাহার বলেন, ওই দিনের ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। জানতে চাইলে রংপুরের সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।