শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা :
১৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার বেলা একটায়, রানী রাসমণি রোডে,পশ্চিমবঙ্গ গ্রুপ ডি সরকারি কর্মচারী সমিতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির আহবানে, বেলা একটায়, ১০দফা দাবীতে কেন্দ্রীয় সমাবেশ। ১০ দফা দাবীর মধ্যে, বকেয়া ভাতা ৪০%, মহার্ঘ ভাতা প্রদান, শূন্য পদে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ ও চুক্তি প্রথায় নিয়োগ কর্মচারীদের নিয়মিত করন, অন্যান্য দাবী তুলে ধরেন। মুখ্য বক্তা হিসেবে ছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জী মহাশয়, তিনি যেমন বিভিন্নভাবে সরকারকে আক্রমণ করলেন, ঠিক একই ভাবে সংগঠনের সভাপতি সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি, তিনি বলেন এই সকল সরকারী কর্মচারীদের নিয়ে ১৯৫২ সালে সর্ববৃহৎ সংগঠন গড়ে তুলেছিল, আজও একই ভাবে অপরিবর্তিত। এছাড়াও বলেন তারা এই সকল দাবী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ২২ টি জেলাতে ডেপুটেশন দিয়েছেন, তার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ৩০ শে নভেম্বর ১৪ টি জায়গায় এবং উত্তরবঙ্গে ১০ই নভেম্বর সাতটি জায়গায় ডেপুটেশন দিয়েছেন, আর আজ সকলকে নিয়ে এই রানী রাসমনির সামনে সমাবেশ করছি, এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান। অন্যদিকে হাইকোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চক্রবর্তী মহাশয় বলেন, এ রাজ্যের মুখ্য সচিব যিনি হরে কৃষ্ণ ত্রিবেদী, তিনি হচ্ছেন রাজ্য সরকারের একজন চাকর, তিনি দিদির কথায় উঠে বসেন, উনি দিদির চাকর ছাড়া কিছুই নয়, আর আমাদের রাজ্য সরকারকে সরকার না বলে, সার্কাস বললেও হয়তো ভুল হবে ,কারণ তাদেরও একটা রিং মাস্টার থাকে সার্কাস চালানোর জন্য, শুধু তাই নয় তিনি আরো বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ১৪ তলায় বসেন, তার বারো তলা ও ১৩ তলা কেন সব সময় বন্ধ থাকে, কাদের টাকা গচ্ছিত করে রাখা থাকে যে সব সময় তালা বন্ধ থাকবে, এই সকল প্রশ্ন তুলে আনেন আজকের সভায় আইনজীবী। আর সারাদিন শুধু সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে ,দুই দলের মধ্যে লড়াই চলে, কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, কি করবে রাজত্ব, এই হচ্ছে রাজ্যের অবস্থা, আর রাজ্যে চারটি চোর পুলিশ গুন্ডা পুষে রেখেছে, তাই আমি মনে করি, আপনারা যদি সঙ্ঘবদ্ধ হন, অতি অবশ্যই জয় হবে। তাই আপনারা বসে না থেকে, আরও সবাইকে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হন, এখন সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে, চুপ করে থাকলে কিছু আদায় হবে না ।