রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা:
১৪ই অক্টোবর শনিবার, মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে, ঠিক বিকেল পাঁচটায়, মহিয়াড়ী রাস মাঠ, হাওড়া আন্দুল ও মৌড়ির সংযোগস্থলে, দে বাড়ীর , ১৭ বৎসরের স্কুল পড়ুয়া শিল্পীর একটি দুর্গা প্রতিমা শুভ সূচনা হয়ে গেল, সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে , এবং দেখার সাথে সাথে উপস্থিত অতিথিবৃন্দদের মন জয় করে নিলেন ,শুধু তাই নয় শিশু চিত্রশিল্পী ও সেরা প্রতিমা শিল্পী হিসাবে চ্যানেলের তরফ থেকে সম্মান ছিনিয়ে নিলেন।।
উপস্থিত ছিলেন এলাকার, বিধায়িকা প্রিয়া পাল মহাশয়া, উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী রাজদীপ দাস রিয়া দে, লেখিকা সুচিতা সরকার, সঞ্চালক শ্রাবণী মুখার্জী, আলোকসজ্জা প্রভাত নাথ ,এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দে বাড়ীর পরিজনের,মাননীয়া বিধায়িকা এবং চিত্ত শিল্পীরা যৌথ ভাবে আবরণ উন্মোচন করলেন এবং প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এই প্রতিমার শুভ সূচনা করলেন । এরপর একে একে সম্মানী অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং হাতে শাহরুখ দিয়ে সম্মানিত করলেন ছোট্ট শিল্পী সোমনাথ দে।সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বিধায়িকা বলেন, আমি সোমনাথকে আগে থেকেই চিনি, কারণ ও বেশ কিছু জায়গায় কবিতায় সম্মানিত হয়েছে, ভালো কবিতা পড়তে পারে এবং ও একজন শিল্পী বলে জানি, কিন্তু আজ ওর বাড়িতে এসে এরকম একটি প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করতে পেরে আমি সত্যিই খুব খুশি।, এতোটুকু একটি ছেলে, সে একটি রাজবাড়ীর প্রতিমার আদলে এইভাবে যে একটি প্রতিমা তৈরি করে সবার সামনে তুলে ধরতে পারবে ,এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। তাই রাজদীপকে আমি আমার তরফ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই, ও যেন আরো অনেক ভালো কাজ করে ,আরো অনেক সম্মানে ভূষিত হয়। আমরা ওর পাশে সব সময় আছি,একইভাবে বলতে গিয়ে সোমনাথের বাবা বিশ্বনাথ বাবু চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না, তিনি বলেন ও মায়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছে, হয়তো আমি ওকে কিছু করে দিতে পারিনি, কিন্তু ওর পাশে আছি ও যতদূর যা করতে চাইবে ,আমি চেষ্টা করব ওর পাশে থেকে উদ্যোগ দেওয়ার, ও মাকে হারিয়েছে ,অনেক ছোট বয়সে, কিন্তু ও যেমন পড়াশোনা করতে চায়, আর তার সাথে সাথে ও যে কবিতা ও আঁকা নিয়ে রয়েছে, আজ সেই আঁকা থেকে আমার বাড়িতে মা দুর্গা প্রতিষ্ঠিত হলো এর চাইতে বড় পাওনা ছেলের কাছ থেকে আর কিছু আশা করিনি।, আমি চাইবো আরো বড় করে যেন করতে পারি। আর ছেলের প্রচেষ্টা যেন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে,শিশু শিল্পী সোমনাথ, বলেন আমি বহুদিন ধরেই, কাগজ কেটে কেটে দুর্গা তৈরি করতাম, কিন্তু এইভাবে কোনদিন তৈরি করিনি, আর আমি পুজোর সময় হলে চলে যেতাম শোভাবাজার রাজ বাড়ির প্রতিমা দেখতে।, আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতাম যদি এই ধরনের প্রতিমা আমি তৈরি করতে পারি, তাই আমি পড়ার ফাঁকে, দুই মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে চেষ্টা করেছি সবার আশীর্বাদে শোভাবাজার রাজবাড়ি যে দুর্গা প্রতিমা তার আদলে তৈরি করতে, আর তাই আজ প্রতিষ্ঠিত হলো আমাদের সবার প্রিয় বিধায়িকা রিয়া পালের হাত ধরে দুর্গা প্রতিমা । আর আমি খুশি, আমার ডাকে সবাই পাশে এসে সহযোগিতা হাত বাড়িয়েছে বলে ,আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। তবে বড় করে কিছু করতে পারিনি, বাড়ির মধ্যেই ছোট্ট জায়গায় সবাইকে নিয়ে আজ একটু অনুষ্ঠান করলাম ,তবে আগামী দিনে চেষ্টা করব, আরো ভালো করে করার, এবং আমাকে যে দৈনিক দুরন্ত বাংলা তরফ থেকে সম্মান দিলেন, আমি খুবই আনন্দিত। সম্মান পেয়ে।