শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছে-রাকিন আহমেদ পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি শেরপুর জেলা আ’ লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন কুমার পাল আটক পাবনায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার পুনাক ও রাজশাহীর ক্ষদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবের দায়িত্ব নিয়ে চলছে-স্নায়ুযুদ্ধ

Reading Time: 2 minutes

হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা :
আর মাত্র চার দিন বাকী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার। আজও নির্ধারণ হয়নি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র ধর্মপুর ডিডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সচিবের দায়িত্ব কে পালন করবেন। দায়িত্ব পালন নিয়ে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পায়নি মর্মে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ প্রায় দশ ধরে ওই বিদ্যালয়ে দুইজন প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দাবি করে আসছেন। এনিয়ে আদালতে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগও রয়েছে অর্ধশতাধিক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষাবোর্ড একনামে ধর্মপুর ডিডিএম উচ্চ বিদ্যালয়কে জানে বা চিনে। কিন্তু অত্যন্ত মজার বিষয় আজ কোন সমাধান হয়নি। সে কারণে বিদ্যালয়টি চলছে নিজের ইচ্ছায়। প্রতিষ্ঠান প্রধান দাবিদার দুইজন হচ্ছেন শিরিন মোছাঃ শামসাদ বেগম ও শরিফুল ইসলাম। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সচিবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় পুনরায় তাকে দেয়ার কথা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। তবে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমানের নাম জানা গেছে। ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মশিউর রহমান মিঠু জানান, এখন পর্যন্ত তার ছেলে প্রবেশ পত্র পায়নি। কে প্রবেশ পত্র বিতরণ করবেন তাও জানা যায়নি। এনিয়ে তিনি উৎকষ্ঠায় রয়েছেন অভিভাবকগণ। দাবিদার প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি বৈধ প্রধান শিক্ষক। আদালতের রায় তার পক্ষে রয়েছে, এবং শিক্ষাবোর্ড ইতিমধ্যে তাকে এডহক কমিটি প্রদান করেছে।  তিনি দুই মাসের শিক্ষক কর্মচারির বিল দিয়েছেন। মামলা নিয়ে পাল্টাপাল্টি আদেশ থাকায় সে পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। অপর দাবিদার প্রতিষ্ঠান প্রধান শিরিন মোছাঃ শামসাদ বেগম জানান, তিনি প্রকৃতপক্ষে বৈধ প্রধান শিক্ষক। তিনি দীর্ঘদিন হতে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আদালতের আদেশ তার পক্ষে রয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে শরিফুল ইসলামের কমিটি বাতিল করে শিক্ষাবোর্ড পুনরায় তাকে এডহক কমিটি প্রদান করেছে এবং তিনি দুইমাস হতে শিক্ষক কর্মচারিগণের বেতন ভাতা প্রদান করছেন। প্রশাসন অন্যায়ভাবে তাকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব হতে বিরত রাখছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল জানান, মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদটি নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। কেন্দ্র সচিবের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন নির্ধারণ করবেন।  উপজেলা নিবার্হী অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. মাসুদুর রহমান জানান, ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। সে কারণে সচিবের দায়িত্ব নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য একজন সরকারি অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com