বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা:
৩০ শে আগস্ট, সারাদেশে যখন রাখি উৎসব পালিত হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে এবং বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে ঠিক সেই সময়, সকাল ১১ টায়, হিউমান রাইট কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া প্রতি বছরের ন্যায়, এই বৎসরও জেলার ও অফিসারদের উপস্থিতিতে, ব্যারাকপুর জেলে কয়ে দিদের হাতে রাখী পরিয়ে মিষ্টি মুখ করালেন,প্রায় ৩৫০ জনের মতো জেলবন্দি কয়েদিদের রাখী পড়ালেন ও মিষ্টি খাওয়ালেন,শুধু তাই নয় সকল অফিসারদেরও রাখী পরিয়ে মিষ্টিমুখ করালেন।উপস্থিত ছিলেন, জেলার সাহেব এবং অন্যান্য অফিসার সহ , হিউমান রাইট কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কর্ণধার চন্দ্র শেখর দে মহাশয়, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার অশোক বর্মা, উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অর্জুন দাস, মিঠুন চক্রবর্তী ,মানস রায়, রিপর্ণা গুহ মজুমদার ,শুস্নেহা দেবনাথ, সুশান্ত সরকার, সবিতা কর, রামপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা, । আজ বোনেদের হাতে রাখি পড়ে সকলেই খুশি,এবং এটি একটি নজির সৃষ্টি করলো, শুধু তাই নয় সকল বন্দি ভাইদের উৎস করলো,তারা আজকের দিনে বোনেদেরকে কাছে পেল,সংস্থার কর্ণদার চন্দ্রশেখর জানান, আমরা শুধু ব্যারাকপুর জেলের মধ্যেই রাখি বন্ধন উৎসব পালন করছি না
আমাদের যেখানে যেখানে সংগঠন আছে, সমস্ত জেলায় আমরা রাখী বন্ধন উৎসব পালন করছি এবং আমাদের সংগঠনের ছেলে মেয়েরা, সকল মানুষের হাতে এবং ছোট ছোট ভাইদের হাতে রাখী পরিয়ে আজকের দিনটি পালন করছেন, রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হচ্ছে,, তমলুক, ডায়মন্ডহারবার, বসিরহাট ,বহরমপুর,জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, মাথাভাঙ্গা ,তুফানগঞ্জ থেকে শুরু করে অন্যান্য জেলাতেও,এছাড়াও তিনি জানান আমরা শুধু রাখি বন্ধন উৎছবে পালন করি না, সারা বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছি, এবং অসহায় মানুষদের পাশে রয়েছি, আর আজ এই সকল ভাইদের পাশে থেকে আমরা খুশি, যারা দুটি দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকেন, যারা বন্দী দশায় দিন কাটাচ্ছেন, যাদের আজকের দিনটি এই রুদ্ধ কারাগারে থাকতে হচ্ছে ,কারো বোন থাকলেও তার হাতে রাখী পড়তে যেতে পারছে না, কারো বা বোন নাই ,কারো বা তার পরিবারের কাউকে হারিয়েছেন, কিন্তু তারা এই জেলখানাতেই গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ ,তাই আমরা প্রতি বছর এই দিনটিতে আমাদের সংগঠনের মহিলা সদস্যরা এই ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে তাদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন, রাখি পরিয়ে একটাই কামনা করছেন, এই ভাইরা যেন তাড়াতাড়ি ছাড়া পায় এবং তাদের পরিবারের পাশে যেতে পারে।