রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা:
১৪ ই নভেম্বর মঙ্গলবার, বিকেল তিনটে থেকে শহীদ মিনারের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে ভাইফোঁটা পালিত হল, ধর্ণ মঞ্চের বোনেরা ভাইদের কপালে ফোটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করালেন এবং আজকের এই প্রতিবাদ আরো তীব্র ভাবে গড়ে তুললেন, তারা জানালেন কি করব 292 দিন হয়ে গেল, আজও আমরা ধর্ণা মঞ্চে রয়েছি, সমস্ত আনন্দ ভুলে, বাড়ি ঘর দুয়ার ছেড়ে এখানে বসে আছি,, অথচ আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ করে বসে আছেন,, যিনি রাজ্যের মন্ত্রী তিনি নিজের রাজ্যের সরকারি প্রার্থীদের ডিএ দিতে পারছেন না,, শুধু তাই নয় উপযুক্ত ছেলেদের চাকরী দিতে পারছে না, সারা পশ্চিমবঙ্গ কে চোর ছেচ্চরে ভরিয়ে দিয়েছে।,, আর আমাদের যতদিন না বকেয়া ডিএ মিটাবে, আমরা এই ধর্ণা মঞ্চে এই ভাবেই বসে থাকবো। দেখব কি করে চুপ করে থাকেন, আমরাও এর শেষ দেখবো, সারা রাজ্যে শুধু কাটমানি, গরু পাচার, দুয়ারের মদ, মিড ডে মিলে দুর্নীতি, স্কুল ইউনিফর্মে দুর্নীতি, বালিচুরি, বেসরকারিকরণ, চাকরি চুরি, ডিএ চুরি কোন টাতেই কম নাই, এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার,,
সাধারণ মানুষ ধর্মতলা শব্দটাও ভুলে গিয়েছে, কারণ এখন আর ধর্মতলা নাই,এখন সেটা ধর্ণা তলায় পরিণত হয়েছে,, নাম হয়ে গেছে ধর্ণা তলা, তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এত পুরস্কৃত করেন এবার মনে হয় ধর্নাশ্রী পুরস্কার দেওয়া উচিত। আর মুহূর্তে মুহূর্তে এত মিথ্যে কথা বলেন, তাই আরেকটি প্রকল্প গড়ে তোলা উচিত, সেটা হচ্ছে মিথ্যা শ্রী প্রকল্প, এইভাবেই তীব্র ধিক্কার জানাতে থাকেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের চাকুরী প্রার্থীরা, যিনি বিরোধী দলের নিয়ে বহু কথা বলেছেন তিনি ১২ বছরে কি কি করেছেন একবার ভেবে দেখুন, সারা রাজ্যকে দুর্নীতিতে ভরিয়ে দিয়েছেন, আর টাকার বিনিময়ে সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিয়েছেন, যিনি বলেছিলেন কোনরকম কন্ট্যাকচুয়াল কাজ থাকবে না কোথায় গেল সেই কেন শিক্ষিত সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা পথে বসে আছে ঘরবাড়ি ছেড়ে। কেন উনি চুপ করে আছেন জবাব উনাকে দিতেই হবে।
রাজ্যের সমস্ত কিছুকে আই সি ইউ তে পরিণত করে দিয়েছে, তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এক মুঠো জমি ছাড়বে না,যতদিন না তাদের দাবি আদায় হবে, শুধু তাই নয়, এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সমস্ত কিছুকে আই সি ইউ থেকে ফিরিয়ে আনবে, যিনি নিজের রাজ্যে ছেলেদের কথা ভাবে না, চাকরি দিতে পারেনা, ডিএ দিতে পারেনা, তিনি অন্য রাজ্যে গিয়ে আশ্বাস দিয়ে আসেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা। তাই আমরা ভাইফোটার মধ্য দিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিতে চায়, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এক মুঠো জমি ছাড়বো না।