শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সমরেশ রায় ও শম্পা দাস,কলকাতা:
২৭শে আগস্ট রবিবার, ঠিক সন্ধে সাড়ে সাতটায় টালিগঞ্জে উত্তম কুমারের মূর্তির সামনে, চলন্ত সিগন্যালের মধ্যে ডিউটিরত এক হোমগার্ড, চলন্ত বাইক আরোহীর হাত ধরে টানায় ঘটে গেল এক দুর্ঘটনা, ১২ বাইক আরোহী সামলাতে না পেরে আরো দুটি বাইককে ধাক্কা মারায় তারাও আহত হয়ন, এবং একজনে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায়, তবুও ওই হোম গার্ড কোনরকম সহযোগিতার হাত বাড়াননি উপরন্ত প্রতিবাদ করতে গেলে একটি বাইক আরোহীর চালককে তিনি ঘুসি মারেন, উত্তেজিত হয়ে পড়ে জনতা, সেই সময় আরও দুটি হোমগার্ড ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, কিন্তু কোন রকম ভাবেই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি, বাইক আরোহী ঘটনাস্থলে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন এবং আরো দুজন আরোহীর মুখে আঘাত লাগে,প্রায় কুড়ি থেকে ২৫ মিনিট এইভাবে কেটে যাওয়ায়, জন তারা উত্তেজিত হয়ে পড়লে, তখন এক হোমগার্ড একটি অটো দেখে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করান ঘটনা ঘটে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই হোমগার্ড ওখান থেকে পালিয়ে যায়, জনতার অভিযোগ এইভাবে মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিলি ছিলি খেলছে প্রশাসনের লোকজন, আইনের নামে বেআইনি কাজ করে চলেছেন, আর যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল, তিনটি তরতাজা প্রাণ চলে যেতে পারতো, এই দুর্ঘটনার ফলে বাইকগুলিরও ক্ষতি হয়েছে, বাইক আরোহীরা ডিউটি রত হোমগার্ডের ক্ষতিপূরণের কথা বললে, মুখ বুজে চুপ করে শুনেন, কোনরকম উচ্চবাচ্য করলেন না, কিন্তু এরকম একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় কোনরকম অফিসারদের দেখা পাওয়া যায় না,কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া বেহালা চৌরাস্তার ঘটনার কথা তুলে উপস্থিত জনগণেরা বলেন, পুনরায় আজ বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল তিনটি প্রাণ তবুও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নাই, আমাদেরকে আঙুল দিয়ে পুনরায় দেখিয়ে দিল এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, আমরা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করতে চাই, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় । মানুষের নিরাপত্তার বদলে চলে গাড়ি ধরার ধরপাকড়, এবং মৃত্যু নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। আজ এই রকম একটি জনবহুল এলাকায় যে ঘটনা ঘটে গেল, আরো অনেক বড় দুর্ঘটনা হতে পারতো, আরো অনেক গাড়ি আরোহী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত।ওই ট্রাফিক গার্ড কোনরকম সহানুভূতি না দেখিয়ে, বলেন যদি কেউ ভিডিও করে আর ওরায় তার অবস্থা খারাপ করে দেব বলে হুমকি দেন এবং পড়ে যাওয়া এক বাইক আরোহী প্রতিবাদ করলে ও ওই হোমগার্ড কে বলতে গেলে তার গালে তিনি দুটো ঘুসি মারেন। আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে জনগণ।