এক অনুসন্ধানে জানা যায়- উপজেলায় পেশাদার বৈধ লাইসেন্সধারী ড্রাইভারের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এর বিপরীতে এ উপজেলায় বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানায় প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। তবে এ উপজেলায় অবৈধ শিক্ষানবিশ ড্রাইভার রয়েছে প্রায় চার শতাধিক। যারা অনেকটা অবাধে পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে গন্তব্যে ছুটে চলছেন। কখনও কখনও হাইওয়ে বা জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে দায়িত্বরতদের দ্বারা লঘু মামলায় জরিমানা দিলেও এর বিপরীত ব্যবস্থায় পার পেয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থা শুধু গাইবান্ধা জেলা ও তার উপজেলা সমূহের নয়। সারাদেশ জুড়েই ওই সব ড্রাইভারদের বেশ দৌরাত্ব রয়েছে। ফলে প্রকৃত ড্রাইভাররা তাদের কর্ম হারিয়ে হতাশায় পড়েছেন। বৈধ ও পেশাদার কয়েকজন ড্রাইভারের সাথে আমাদের কথা হলে তারা জানান, আমাদের দিয়ে গাড়ি চালালে মজুরি একটু বেশি দিতে হয়। এ কারণে আমাদের অনেকের সাথে হেলপার হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে ড্রাইভার পরিচয়ে যারা আছেন তাদের অনেক কম মজুরি দেওয়া হয়। এ কারণে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের দাবি খোদ গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক রয়েছে প্রায় ২’শ আর পেশাদার বৈধ ড্রাইভার রয়েছে প্রায় ১’শ। এর পরেও কোনো মালিকের গাড়ি বসে নেই। এ উপজেলায় কর্মরত বাহির এলাকার ড্রাইভারের সংখ্যাও খুব নগন্য। আমরা চাই মালিকরা প্রকৃত পেশাদার ড্রাইভারদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিবে, সড়ক দুর্ঘটনার হার কমাতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি তারা হাইওয়ে ও জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে দায়িত্বরতদের আরও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান।